৬ মাসের ছুটিতে মীম
লাক্স চ্যানেল আই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পরই মীম অভিনয় করেন ‘আমার আছে জল’ ছবিতে। হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ছবিতে জাহিদ হাসান ও ফেরদৌসের সঙ্গে অভিনয় করেন মীম। এরপর থেকে মীম নাটকে অভিনয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। একাধিক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব এলেও রাজি হননি মীম। প্রযোজক তাপসী ঠাকুরের অনুরোধে জাকির হোসেন রাজুর পরিচালনায় ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন মীম। তারপর আবার অনেকদিন কোন ছবিতে অভিনয় করেননি তিনি। ২০১২ সালে হঠাৎ করে মীম রিপন মিয়ার পরিচালনায় ‘তুমি সন্ধ্যারও মেঘমালা’, খালিদ মাহমুদ মিঠুর পরিচালনায় ‘জোনাকির আলো’, তন্ময় তানসেনের পরিচালনায় ‘পদ্মপাতার জল’ ছবিতে অভিনয়ে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু ছবিগুলো নিয়ে বড্ড হতাশ হয়ে পড়েছিলেন মীম। কারণ, ২০১৩ সালে তার কোন ছবিই মুক্তি পায়নি। শুটিংগুলোও এগুচ্ছিল ধীরগতিতে। কোন উপায় না দেখে মীম যথারীতি নাটকে নিয়মিত হন। কিন্তু ২০১৪ সালে ‘তারকাঁটা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ফের ফিরে আসেন রূপালী পর্দায়।
একের পর এক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ঘরে আসে সম্ভাবনাময়ী মীমের। কিন্তু ভাগ্য এবারও সহায় হলো না মীমের। ছয় মাসের জন্য চলচ্চিত্র থেকে বিরতি নিতে হয়েছে মীমের। এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন হওয়ায় ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী ছয় মাসের আগে চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না মীম। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছেন, এক বছরের আগে দৌড়াদৌড়ি, নাচানাচি না করাটাই ভাল। আর মীমের এই অসুস্থতার জন্য হঠাৎ করে আটকে যায় নির্মানাধীন ‘পদ্মপাতার জল’। ছবিতে মীমের নায়ক ইমন। এদিকে অনন্য মামুন মীমকে নিয়ে নতুন ছবি শুরু করতে গেলেও আটকে যান। এদিকে আরও জানা যায়, রেদওয়ান রনি মীমকে নিয়ে ‘মরীচিকা’ নির্মাণ করতে গেলেও এখন মীমের জায়গায় মাহিকে নিয়ে সেই ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, আসলেই সিনেমায় মীমের দুর্ভাগ্য। একাধিক ছবি হাতে থাকলেও শুধু ছোট্ট একটি অপারেশনের কারণে রূপালী পর্দার বেগবান দৌড়ে পিছিয়ে গেলেন তিনি।