ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

কালজয়ী চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনকে হারানোর এক বছর

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

একাধারে তিনি ছিলেন পরিচালক, প্রযোজক, নাট্যকার, গীতিকার, সুরকার, লেখক ও অভিনেতা। তার হাত ধরে ঢাকাই সিনেমা সমৃদ্ধ হয়েছে নির্মাণে ও গল্পে। তিনি কালজয়ী নির্মাতা আমজাদ হোসেন।

গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্যাংককের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দেখতে দেখতে একটি বছর পেরিয়ে গেল আমজাদ হোসেন নেই। আজ এই গুণীর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী।

আমজাদ হোসেনের জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট, জামালপুরে। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘নয়নমণি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’র মতো কালজয়ী সিনেমা নির্মাণ করেছেন।

১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্রজীবন শুরু করেন তিনি। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় আসেন।

তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ছবিটি পরিচালনা করেন ১৯৬৭ সালে। বাকিটুকু ইতিহাস। স্বীকৃতি হিসেবে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

এছাড়াও সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

গত বছর ১৮ নভেম্বর আমজাদ হোসেন ব্রেন স্ট্রোক করলে তাকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেশ কিছুদিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।

এরপর তার চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত চিকিৎসার খরচ বাবদ নন্দিত এই নির্মাতার পরিবারের হাতে ২০ লাখ টাকা এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বাবদ ২২ লাখ টাকা দেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ব্যাংককে নিলেও আর শেষ রক্ষা হয়নি।

ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মারা যান তিনি। সাতদিন হাসপাতালের মর্গে থাকার পর সরকারি খরচে আমজাদ হোসেনের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। এরপর এফডিসি ও জামালপুরসহ বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফা জানাজা শেষে জামালপুর শহরে নিজের বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয় এই নির্মাতাকে।

নানা পরিচয় ও গুণে বিকশিত হলেও আমজাদ হোসেন নিজেকে চলচ্চিত্রের মানুষ ভাবতেই তৃপ্তি বোধ করতেন। চলচ্চিত্রকে তিনি ভালোবাসতেন সন্তানের মতো। চলচ্চিত্রও তাকে দুহাত ভরে দিয়েছিলো; নাম-যশ-সম্মান। ঢাকাই চলচ্চিত্রের আসমানে চিরদিন তাই উজ্জ্বল এক নক্ষত্র হয়ে জ্বলবেন আমজাদ হোসেন।

এলএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন