কিংবদন্তি অভিনেতা খলিলকে মনে পড়ে
ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা ছিলেন তিনি। কলিম শরাফী ও জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’ ছবিতে নায়ক হিসেবে রূপালি পথচলা শুরু করেছিলেন। এরপর নায়ক ও খলনায়ক হিসেবে অনেক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ছোট পর্দায় অনেক নাটকেও অভিনয় করে সবার হৃদয়ে নিজের স্থান করে নিয়েছিলেন। মনে পড়ে কিংবদন্তি অভিনেতা খলিলের কথা!
সেই শক্তিমান অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। চলচ্চিত্রের সদা হাস্যোজ্জ্বল গুণী এই অভিনেতার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায় জাগো নিউজ।
আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে নেই তেমন কোনো আয়োজন। দুবার তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুদিনে এই সংগঠনটি তাকে স্মরণ করেছে। এই গুণী মানুষটির জন্য দোয়ার আয়োজন করেছে তার পরিবার ও একটি সংগঠন।
খলিল উল্লাহ খানের ছেলে মুসা খান জাগো নিউজকে জানান, আজ শনিবার বাদ আসর তাদের মোহাম্মদপুরের বাড়িতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে পরিবারের পক্ষ থেকে। এছাড়া ওই এলাকার ‘শৈশব বেলা’ নামের একটি সংগঠনও স্মরণ সভা করছে খলিল উল্লাহ খানকে নিয়ে।
মুসা খান আরও বলেন, ‘বাবাকে ঘিরেই ছিল আমাদের সবকিছু। পাঁচ বছর হয়ে গেল বাবা চলে গেছেন। আমরা পাঁচ ভাই ও চার বোন। এর মধ্যে দুই ভাই মারা গেছেন। এখন আমরা তিন ভাই ও চার বোন বাবার স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছি। অনেক ভালো মানুষ ছিলেন বাবা। সবাই দোয়া করবেন তার জন্য। তিনি যেন ওপারে ভালো থাকেন।’
১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কুমারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন খলিল উল্লাহ খান। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ২ হাজার ৮০০ সিনেমায় অভিনয় করেছেন খলিল। তবে তার অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে। ‘গুণ্ডা’ শিরোনামের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ সিনেমায় তার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর ও কবরীসহঅনেকে।
১৯৫৯ সালে ‘সোনার কাজল’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় শুরু করেন। এর আগে বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন তিনি। খলিল অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘প্রীত না জানে রীত’। সিনেমাটি ১৯৬৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পায়। খলিলের তৃতীয় সিনেমা ‘সংগম’।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘ক্যায়সে কঁহু’, ‘জংলি ফুল’, ‘আগুন’, ‘পাগলা রাজা’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ওয়াদা’, ‘বিনি সুতার মালা’, ‘বউ কথা কও’, ‘কাজল’ ইত্যাদি। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সিনেমায় মীরজাফরের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের কাছে প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি।
এমএবি/এমএস