পৃথিবীকে বাঁচাতে চায় রাতুল
ধারণা করা হয় বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে তলিয়ে যাবে বাংলাদেশসহ আরো অনেক দেশ, ভবিষ্যতের পৃথিবী হবে খুব ভয়ঙ্কর। সেই ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতকেই রাতুল নামের এক শিশু দেখে ফেলে অতিপ্রাকৃত চরিত্র ‘বাতাসের বুড়ো’র মাধ্যমে। বাতাসের বুড়ো রাতুলকে বলে তোমার পৃথিবী তোমাকেই রক্ষা করতে হবে।
ছোট্ট রাতুল যে একসময় প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে গেলেও সেই রাতুলই এবার ভার নেয় পৃথিবীর ভবিষ্যত বদলাবার। ফেসবুকে জনসচেতনতা মূলক একটা পেইজ খোলে সে। তার সঙ্গী হয় পৃথিবীজুড়ে থাকা হাজার শিশু-কিশোর। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে জনমত। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর করারোপসহ আরো এমন কিছু করে রাতুলেরা যাতে পৃথিবীর এই মহাদুর্যোগ মোকাবেলা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়ে ওঠে। এমনই গল্প নিয়ে বাংলাদেশে নির্মিত হয়েছে থ্রিডি অ্যানিমেটেড ফিল্ম ‘টুমরো’।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সচেতনতা তৈরি করার উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। শনিবার সন্ধ্যায় দীপ্ত টিভির হলরুমে চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা মুরাদ হাসান এমপি, দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিদ হাসান, পরিচালক পারভীন হাসান,পরিচালক কাজী জিসান হাসান, পরিচালক জাহিন হাসান সহ টুমরো ফিল্ম এর পুরো টিম।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা মুরাদ হাসান এমপি চলচ্চিত্রটি দেখার পরে প্রসংশা করে বলেন, ‘এতো অল্প সময়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে। দেখে মুগ্ধ হয়েছি আমি। চলচ্চিত্রটি সারা দেশের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। টেলিভিশন চ্যানেলে তো প্রচার হবেই। এছাড়া দেশব্যাপী ছবিটির প্রচারণার জন্য কোনো সহেযোগীতা প্রয়োজন হলেও পাশে থাকবো।’
আগামী ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় দীপ্ত টিভিতে ফিল্মটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে এবং পরদিন ৩০ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৩০মিনিটে পুনঃপ্রচারিত হবে। কাজী জাহিন হাসান এবং কাজী জিসান হাসান এর প্রযোজনায় ফিল্মটি রচনা করেছেন নাসিমুল হাসান ও আহমেদ খান হীরক। ২৫ মিনিট দীর্ঘ এই অ্যানিমেটেড ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন। বাংলাদেশের সাইকোর স্টুডিওতে ফিল্মটি নির্মিত হয়।
অ্যানিমেটেড ফিল্ম ‘টুমরো’র মূল উদ্দেশ্য শিশু-কিশোরদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটকে তুলে ধরা। বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো যেন জীবাশ্ম জ্বালানীর ওপর কর আরোপসহ নবায়নযোগ্য শক্তিতে অধিকতর বিনিয়োগ করে, এমন একটি সমাধান এই ফিল্মটিতে দেখানো হয়েছে।
এমএবি/এলএ/এমএস