আরও তিন মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে হবে এন্ড্রু কিশোরকে
দেশবরেণ্য আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর বর্তমানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থ অবস্থায় গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। হরমোনজনিত সমস্যার কারণেই মূলত চিকিৎসা নিতে যান এ শিল্পী।
দুই মাস পেরিয়ে গেছে। এখনো চিকিৎসা চলছে তার। তার ভক্তরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন কবে দেশে ফিরবেন এন্ড্রু কিশোর, কবে আবারও গান গাইবেন তিনি! কিংবদন্তি এ গায়কের বর্তমান অবস্থা জানিয়েছেন তার শিষ্য কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস। বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত গুরুর খোঁজখবর রাখছেন তিনি।
মোমিন বিশ্বাস বলেন, ‘দাদা কয়েক মাস ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং দেশেই চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। পরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ডাক্তারদের পরামর্শে দ্রুত সিঙ্গাপুরে তার চিকিৎসা শুরু হয়। কেমোথেরাপি চলছে এখনো। প্রথম দিকেকে চিকিৎসকরা যা বলে ছিলেন সেই অনুযায়ি এতো দিনে সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার কথা ছিলো তার।’
এখন জানা গেলো আরও দীর্ঘ সময় চিকিৎসা নিতে হবে তাকে। মোমিন বিশ্বাস বলেন, ‘দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের হাসাপাতালে দাদা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আরো প্রায় ৩মাস লাগবে তার চিকিৎসা শেষ হতে। আশা করছি দ্রুত সুস্থ হয়ে দাদা দেশে ফিরবেন। সবাই তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।’
এন্ড্রুকিশোরকে বাংলা চলচ্চিত্রের গানের এক মহাসমুদ্র বলা যেতে পারে। কয়েক দশক ধরে সেই সমুদ্রে সাঁতার কেটে চলেছেন শ্রোতারা। তার কণ্ঠ মধু ছড়ায়, তার শত শত গান মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির গানই তিনি গেয়েছেন। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানে, পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছুঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি, সবাইতো ভালোবাসা চায়, বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে, তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন, ভালো আছি ভালো থেকো, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, চোখ যে মনের কথা বলে, পড়েনা চোখের পলক ইত্যাদি।
এমএবি/এমকেএইচ