মাটির গানে দর্শক নাচালেন ফকির শাহাবুদ্দীন
মাথায় সাদা পাগড়ি, সাদা পাঞ্জাবি, কাঁধে ঝোলানো লাল রঙের গামছা। ফোকফেস্টের মঞ্চে আসলেন ফোক গানের জনপ্রিয় শিল্পী ফকির শাহাবুদ্দীন। তাকে দেখেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দর্শকরা।
বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে মঞ্চে আসেন তিনি। ‘আল্লাহ বলো মনরে পাখি,’ ‘একদিন মাটির ভেতরে হবে ঘর,’ ‘দে দে পাল তুলে দে’, একের পর এক গান গাইতে শুরু করেন।
আরও গাইলেন শ্রী কৃষ্ণের প্রেমের গান, ‘আমারে আসিবার কথা কইয়া, রইয়াছো ঘুমাইয়া,’ জালাল খাঁ’র গান রসিক আমার মন বাঁধিয়া পিঞ্জর বানাইছে,’ বাউল আব্দুল করিমের গান ‘বন্দে মায়া লাগাইছে,’ মায়েজ ভান্ডারির ‘স্কুল খুইলাছে রে মাওলা’।
‘বয়স আমার বেশি না ‘ ‘ভাইসাব ভালাই আছেননি,’ ‘বরিশালের পানি ভালা’ গানগুলো ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের গান শুনিয়ে দর্শকদের নাচিয়েছেন তিনি।
দেশের লােকগান বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর হয়ে আসছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় লােকসংগীতের উৎসব ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট’। উৎসবের পঞ্চম আসরের পর্দা উঠেছে ১৪ নভেম্বর। ১৫ নভেম্বর ফোক ফেস্টের দ্বিতীয় দিন।
ফকির শাহাবুদ্দীনের আগে গান শফিকুল, কামরুজ্জামান রাব্বি, কাজল দেওয়ান, মালির হাবিব কইটে অ্যান্ড বামদা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের লোকসংগীত, বাউল ও সুফিগানের জনপ্রিয় শিল্পী ফকির শাহাবুদ্দীন। শাহ আবদুল করিমের সান্নিধ্য পেয়ে বাউলগানে ঝুঁকে পড়েন তিনি। তিন দশকের বেশি সময় ধরে গান করছেন তিনি। দীর্ঘকাল ধরে বাউলগান নিয়ে গবেষণা করছেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে সংগ্রহ করেছেন ৪০ থেকে ৪৫ হাজার বাউলগান।
প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়ে উৎসব চলছে রাত ১২টা পর্যন্ত। বাংলাদেশসহ ছয় দেশের দুই শতাধিক শিল্পী অংশ নিচ্ছেন এবারের উৎসবে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) শেষ হবে এবারের উৎসব।
এমএবি/জেডএ