অভিনেতা রাজীবকে হারানোর ১৫ বছর আজ
‘আমার চেহারা মাপ আমি আরজুর বাপ’, ‘রাজনীতিতে একটা কথা আছে’, ‘আমি মাইন্ড করলাম’, ‘ইল বাবা ইল ইল’, ‘শান্তি নাইরে শান্তি নাই কবরে গিয়াও শান্তি নাই’, ‘আগুন নিয়ে খেলতে আমি ভালোবাসি’, ‘আমি ছিলাম আমি আছি আমি থাকব’ সিনেমার এই সংলাপগুলো মনে করিয়ে দেয় ঢাকাই ছবির এক সময়ের শক্তিমান অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীবের কথা।
আজ (১৪ নভেম্বর) রাজীবের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। রুপালি পর্দার দাপুটে এ অভিনেতা তার অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে ২০০৪ সালের আজকের এই তারিখে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে তিনি ‘রাজীব’ নামেই বেশি পরিচিত। প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রয়াত এই খল নায়ক।
কিংবদন্তি এই অভিনেতার মৃত্যুরার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এই প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘অনেক বড় মাপের একজন অভিনেতা ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সম্মানিত সদস্য মরহুম রাজিব সাহেব এর ১৪তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে শিল্পী সমিতিতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এর আয়োজন করা হবে।’
নানা চরিত্রে অভিনয় করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তিনি। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজীব শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন। অভিনয়ের বাইরে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের অন্যতম সফল খলনায়ক রাজীব ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। চিত্রপরিচালক কাজী হায়াতের খোকন সোনা নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন রাজীব।
রাশভারী এই অভিনেতার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে হাঙর নদী গ্রেনেড, প্রেম পিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, স্বপ্নের পৃথিবী, আজকের সন্ত্রাসী, দুর্জয়, দেনমোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বাবার আদেশ, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, ডন, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, ভাত দে, অনন্ত ভালোবাসা, রাজা শিকদার ও বুকের ভেতর আগুন, সাহসী মানুষ চাই, বিদ্রোহ চারিদিকে, দাঙ্গা প্রভৃতি।
এমএবি/এলএ/এমকেএইচ