ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

ডিভোর্স লেটার পাননি অভিনেতা সিদ্দিক

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৫ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও পরকীয়ায় আসক্তির অভিযোগে স্বামী অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে ডিভোর্স দিয়েছেন মডেল-অভিনেত্রী মারিয়া মিম। গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করেন মিম। ২৩ অক্টোবর ডিভোর্স লেটার সিদ্দিকের হাতে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।

আজ ২৩ অক্টোবর বিকেল ৫টা জাগো নিউজকে সিদ্দিকুর রহমান জানান, এখনো তিনি কোনো ডিভোর্স লেটার পাননি। সিদ্দিক বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমের খবর পড়ে জেনেছি আমার কাছে ডিভোর্স লেটার পাঠানো হয়েছে। সে আমার নামে অনেক অভিযোগ দিয়েছে। ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছে। তবে এখনো আমার হাতে এমন কোনো কাগজ এসে পৌঁছায়নি।’

সিদ্দিক আরও বলেন, ‘মারিয়া মিম যেহেতু আমার সন্তানের মা। তার বিরুদ্ধে আমি কিছু বলবো না। তার ডিভোর্স দেওয়ার রাইট আছে। আমাদের দেশে কোনো নারী তার স্বামীকে ডিভোর্স দিলে সেটা ফিরিয়ে দেওয়াও কোনো উপায় নেই। আমার কাছে এটা পৌঁছালে আমি জানাবো। বাংলাদেশে অনেক বড় বড় তারকাদেরও ডিভোর্স হয়েছে। আমি সব সময় চেয়েছি এটা যেনো নোংরা ভাবে না হয়। আমাকে ডিভোর্স দিয়ে মিমি মিডিয়াতে কাজ করেই যদি ভালো থাকে, ভালো থাকুক।’

মিমের অভিযোগ, ‘কিছু দিন আগেই একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার কথা থাকলেও বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা রানা মাসুদকে সিদ্দিক প্রভাবিত করেছেন তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নেয়ার জন্য। সিদ্দিক নিজেও একজন শোবিজের মানুষ। অভিনয় করেন। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু স্বামী হিসেবে আমি ওর কাছে কোনো সহযোগিতা পাই না।’

এ ছাড়াও গণমাধ্যমে সিদ্দিকের পরনারীতে আসক্তির কথা জানান মিমি। বিভিন্ন সময় তার ওপর নির্যাতন করতেন সিদ্দিক সেই কথাও বলেন। তারই প্রেক্ষিতে ১৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্দিককে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন তিনি।

গত সোমবার নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সিদ্দিকের সঙ্গে সংসারের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান মিম। সেখানে তিনি লিখেন, ‘আজ আমি একজন মেয়ে বলেই আমাকে সব কিছু মেনে নিতে হবে। মেনে নিতে হবে সকল অত্যাচার, সহ্য করতে হবে সকল মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন। শুনতে হবে সকল মিথ্যা অপবাদ। রাতের পর রাত, দিনের পর দিন সবকিছু সহ্য করেছি এবং একা একা কেঁদেছি।

অনেক আগেই চেয়েছিলাম সম্পর্কটা শেষ করে দেই, তখনই বাধা দেওয়া হয়েছে কারণ তুমি একজন নারী। তোমার সবকিছু এডজাস্ট এবং স্যাক্রিফাইস করতে হবে। একটা মেয়ে তার সবকিছু ছেড়ে দিয়ে একটা নতুন মানুষের সাথে ঘর বাঁধে, স্বপ্ন দেখে সারা জীবন একসাথে থাকবে, স্বপ্ন দেখে সুন্দর একটা সংসার। কিন্তু সেই মানুষটা যখন বদলে যায় এবং ভুলে যায় স্ত্রীর প্রতি সমস্ত দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্যবোধ তখন হতাশা আসে।

কীভাবে একজন স্ত্রী মেনে নিতে পারে তার স্বামীর সাথে অন্য মেয়ের সম্পর্ক, কীভাবে মেনে নিতে পারে রাতের পর রাত স্বামীর বাসায় না ফেরা। কারণ সে একজন নারী এবং নারী বলেই সবকিছু চোখ বন্ধ করে সহ্য করতে হবে। কিন্তু আর কত সহ্য করবো, আর কতবার নির্যাতনের শিকার হবো। তাই সবকিছুর পরে অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেই।

কারণ আমিও মানুষ, আমারও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজে স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছি। একটা দীর্ঘদিনের বেদনা, কান্না এবং চাপা কষ্ট সবকিছু নিয়ে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে আমি আমার সম্পর্ক ছিন্ন করেছি।’

একমাত্র ছেলেকে সিদ্দিক দেখা করতে দেয় না দাবি করে তিনি লেখেন, ‘আমাদের সেপারেশনের পর থেকে সিদ্দিকুর রহমান আমার একমাত্র আদরের সন্তান আরশ হোসাইনের সাথে দেখা করতে দেয় না এবং কথাও বলতে দেয় না। এই জন্য আমি সিদ্দিকুর রহমানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাবো যেন আমার বাচ্চা আমার কাছে থাকে। একমাত্র একটা মা জানে তার সন্তানের সাথে দেখা না করার, কথা না বলা কতটা কষ্টের এবং দুঃখের।’

এ বিষয়ে আজ বুধবার বিকেলে সিদ্দিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ও যদি মনে করে ওর কাছে নিয়ে গেছে ছেলে ভালো থাকবে তাহলে নিয়ে যেতেই পারে। ছেলের ভবিষ্যত নষ্ট করার অধিকার আমাদের কারো নেই। ছেলেকে সে নিজের কাছে রাখতে চায় সে কথা আমাকে আগে বলেনি। আলোচনা করে আসলে অনেক সমস্যারই সমাধান করা যায়। ছেলে কার কাছে থাকবে এই বিষয়ে আমাদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি।’

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৪ মে মারিয়া মিমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সিদ্দিক।

এমএবি/এলএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন