ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

আমারও অনেক অভিযোগ আছে তবু বিচ্ছেদ চাই না : সিদ্দিক

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

কয়েক দিন থেকেই খবরের শিরোনামে আসছেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান-মারিয়া মিম দম্পতি। সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলছেন মিম। সিদ্দিকও গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরছেন তার নিজের বক্তব্য।

মারিয়া মিম অভিযোগ তুলেছেন সিদ্দিক তাকে মিডিয়ায় কাজ করেতে দিতে চান না। তাকে সময় দেন না। কারণে অকারণে তাকে নির্যাতন করেন। পরিবারের থেকে বাইরে বেশি সময় কাটান। এমন কী একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে সিদ্দিককে ডিভোর্স দিতেও চেয়েছেন তিনি।

তবে স্ত্রীকে নিয়ে তেমন কিছুই বলছেন না সিদ্দিক। বিচ্ছেদের পথে নয় বরং মিলনের পথেই হাঁটতে চান এই অভিনেতা।

মিমের নানা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মিমের বিরুদ্ধে আমারও অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু সে তো এখনো আমার স্ত্রী। পরিবারের কথা বাইরের লোককে বলতে চাই না। কথা বললেই কথা বাড়বে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলতেই থাকবে।’

কিন্তু প্রকাশ্যেই আপনার বিরুদ্ধে তো নানা অভিযোগ করছেন মিম! সবাই তো জানছে বিষয়গুলো।

সিদ্দিক বললেন, ‘মিমের কয়েক দিনের আচরণে আমার মনে হচ্ছে ওর পেছনো তৃতীয় কোনো ব্যক্তি আছে। ও কেমন আমি তো জানি ? অল্প বয়স। রাগের মাথায় কী বলছেন না বলছে ও নিজেও জানে না। ওর মা-বাবার সঙ্গেও কথা বলেছি। বিচ্ছেদ নয় ওর ফিরে আসাটাই সঠিক সমাধান হতে পারে। আমাকে ডিভোর্স দিয়ে মিম হয় তো আরও ভালো কোথাও বিয়ে করতে পারবে। আমিও হয় তো আবারও বিয়ে করতে পারবো। কিন্তু আমাদের ছেলে আরশ তার মাকে হারাবে। ছেলের চেয়ে মডেলিং কখনো বড় হতে পারে না।’

‘গ্রাজুয়েট’ খ্যাত এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি মিমকে একেবারে মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে বলিনি। আমার নিজস্ব প্রোডাকশন হাউজ থেকে অনেক কাজ হয়। তার যেহেতু ইচ্ছে সে নিজের প্রোডাকশনে কাজ করতেই পারে।’

সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করা নিয়ে মিমের সাথে সিদ্দিকের ঝামেলা হয়। নিষেধ করা সত্ত্বেও মিমি কাজটি করতে চায়। শেষে অবশ্য বিজ্ঞাপনটিতে তার কাজ করা হয়নি তার। এতেই হয়তো ক্ষোভে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিম, এমনটাই ধারণা তার সিদ্দিকের।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ মে মারিয়া মিমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ২০১৩ সালে তারা আরশ হোসেন নামে এক পুত্রের বাবা মা হন। ছেলে এখন বাবার সাথেই থাকে।

এমএবি/পিআর

আরও পড়ুন