এফডিসিতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ!
আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় বিএফডিসিতে খল অভিনেতা ড্যানিরাজের কাছে শিল্পী সমিতিতে অপমানিত হয়েছেন মৌসুমী। এই নায়িকার সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। একপর্যায়ে মৌসুমীকে তিনি ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়। পরে মৌসুমীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ড্যানিরাজ।
এদিকে মঙ্গলবার মৌসুমী এফডিসিতে বহিরাগতদের নিয়ে নির্বাচনী মিছিল করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। মৌসুমী ও ড্যানিরাজের দ্বন্দ্ব ও বহিরাগতদের নিয়ে মৌসুমীর মিছিলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মিশা-জায়েদ প্যানেল বুধবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে শিল্পী সমিতির স্টাডিরুমের জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনারের কাছে নির্বাচনের মধ্যে এফডিসিতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
মিশা সওদাগর নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভবিষ্যতে যেন এ রকম বিব্রতকর অবস্থার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য আমি এবং আমার কার্যকরী পরিষদ অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সদাসজাগ থাকতে বদ্ধপরিকর। আমি এবং আমার কার্যকরী পরিষদের সবার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অনুরােধ করছি, নির্বাচন কর্মকাণ্ডের শেষ পর্যন্ত বহিরাগতদের বিএফডিসিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠান উপহার দেবেন।’
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এফডিসিতে শিল্পী-কলাকুশলীদের বাইরেও অনেক বহিরাগতকে দেখা যায় সারা বছর। কারা এফডিসিতে আসছে-যাচ্ছে এটা আসলে দেখার দায়িত্ব এফডিসি কর্তৃপক্ষের। আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনার হিসেবে এই বিষয়ে এফডিসির মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তার কাছে অনুরোধ করেছি বিশেষ করে নির্বাচনের এই কয়েকদিন যেন এফডিসিতে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করা হয়।’
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘নির্বাচনের দিন (২৫ অক্টোবর) এফডিসিতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ওই দিন কোনো বাইরের মানুষ এখানে প্রবেশ করতে পারবেন না। আমরা ভোটার শিল্পীদের জন্য আলাদা পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করেছি। ভোটাররা সেই কার্ড দেখিয়ে প্রবেশ করবেন ও ভোট দেবেন।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন- অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।
এমএবি/বিএ