ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

সমিতিতে লাখ লাখ টাকা এসেছে, তার হিসাব পাইনি : পপি

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৯

গত নির্বাচনে এক প্যানেলে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তাদের প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক রিয়াজ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা পপি।

দুই বছর মেয়াদ শেষে আগের সেই সম্পর্কটা আর নেই। এবারের নির্বাচনে মিশা-জায়েদের সঙ্গে নেই রিয়াজ, পপি ও ফেরদৌস। তারা মিশা-জায়েদ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে প্যানেল থেকে বের হয়ে গেছেন।

এবার তাদের বিরুদ্ধে শিল্পীদের ফান্ড গঠনের টাকা নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন মিশা-জায়েদ। সম্প্রতি সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে বলেন, শিল্পীদের জন্য ফান্ড গঠন করতে একটি চ্যারিটি অনুষ্ঠান থেকেও ৫০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন রিয়াজ, ফেরদৌস ও পপি। শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের প্রতি কোনো দায় নেই তাদের। এজন্যই ফান্ড গঠনের চ্যারিটি অনুষ্ঠান থেকেও পারিশ্রমিক নেন তারা। তারা ছাড়া অন্য কেউ টাকা নেননি। একই কথা জায়েদ খানেরও।

এর প্রতিক্রিয়ায় মিশা ও জায়েদ খানের প্রতি ক্ষোভ ঝারলেন নায়িকা পপি। তিনি বলেন, ‘কে টাকা দিয়েছে? কার নামে? রসিদটা কোথায়? শুধু এই একটা শোয়ের কথা কেন বলা হচ্ছে? আমি তো সমিতির জন্য অনেক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছি। রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, সাইমন, অপুসহ আরও অনেকেই এসব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।’

কখনো পুলিশের অনুষ্ঠান, কখনো র‍্যাবের, অনেক রকম অনুষ্ঠান। এক টাকাও পারিশ্রমিক নিইনি আমি।

একটা পারফর্ম করলে তো অনেক সহশিল্পী রাখতে হয়। তাদের টাকা দিতে হয়। সেই টাকাটাও দেয়া হতো না। ভাবতাম সমিতির জন্যই কাজ করছি। সমস্যা নেই। জায়েদ বলতো অমুকের অনুষ্ঠান, তমুকের অনুষ্ঠান টাকা নেয়া যাবে না। সমিতির ফান্ডের জন্য কিছু ডোনেশন আসবে।

তো কত টাকা ডোনেশন আসলো? সেই টাকা কোথায় কীভাবে খরচ করা হয়েছে জানতে চাই। এখানে শিল্পীদের পরিশ্রম, ঘাম মিশে আছে। দুই বছরে লাখ লাখ টাকা এসেছে সমিতিতে, হিসাবটা পাইনি। উল্টো অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

দুই বছরে অনেক কিছু দেখেছি। যখন কোথাও থেকে টাকা আনার দরকার হয় তখন শিল্পীদের ডাক পড়ে। আসুন, শো আছে। এরপর আর কোনো খবর নেই।

যখন কাউকে টাকা দেয়ার সময় আসে তখন তারা দুজন। ফেসবুক ভরিয়ে ফেলে ছবি দিয়ে। সব ক্রেডিট তারা নেয়। আমরা আত্মীয়স্বজনকে দেখতে গেলে, কিছু সাহায্য করলে কী সেটা পাড়াপড়শীকে জানিয়ে করি? কিন্তু দুই বছর ধরেই তারা এমন করে শিল্পীদের ছোট করেছে বলে মনে করি আমি।

এখন নাকি আবার বলছে সমিতির কেউ কিছু করেনি। সব তারা দুজন আর তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। তাদের দেখে কেউ টাকা দিয়েছে? দুই বছরে একটা এজিএমও করতে পারেনি। অভিযোগের শেষ নেই।’

পপি বলেন, ‘আমরা নানা অনিয়ম দেখে অভিযোগ তুলে এবার তাদের প্যানেলে যেতে রাজি হইনি। এজন্যই তারা দুই মাস ধরে আমাদের সাথে বাজে আচরণ করছে। নানা রকম ব্লেম দিয়ে যাচ্ছে। হাসি পায়, তাই বলে ৫০ হাজার টাকার মানহানি করবে? আমি বা রিয়াজ, ফেরদৌসরা ৫০ হাজার টাকার শিল্পী?

আর যদি ধরেও নেই যে আমরা তিনজন নারায়ণগঞ্জে ৫০ করে দেড় লাখ টাকা নিয়েছি তাহলে আরও তো আড়াই লাখ টাকা বাকি। সেগুলো কোথায়? ওই প্রোগ্রামে ৮ লাখ টাকার ৪ লাখ টাকা যাবে সমিতির ফান্ডে আর ৪ লাখ টাকা খরচ করা হবে শিল্পীদের পারফর্ম বাবদ। আমরা তিনজন দেড় লাখ নিয়ে নিলাম। তাহলে বাকি টাকা কোথায়? জোচ্চুরি করে আবার বড় বড় কথা বলা হচ্ছে!’

এবার কেন নির্বাচনে আসলেন না এই প্রশ্নের জবাবে পপি বলেন, ‘আসলে গত দুই বছরে সমিতির সঙ্গে থেকে ও অনেক কিছু দেখে নির্বাচনের ইচ্ছাটা মরে গেছে। যেটা বুঝেছি তারা দুজন নিজেদের কোরাম আগে থেকেই ঠিক করে নিয়েছে। যারা ন্যায্য কথা বলে, যারা অনিয়ম হলে প্রতিবাদ করে তারা সমিতিতে নেতৃত্বে আসুক এটা তারা চায় না।

হঠাৎ করে শুনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। আমি কিছু জানতেই পারিনি। পুরো দুই বছরেই এমনটা হয়েছে। কমিটির বা সমিতির কোনো ঘটনা থাকলে অন্যদের কাছে আমাকে শুনতে হয়েছে। শুধু পারফর্মের বেলায় পপিকে ডাকো অন্যসব কাজে গুরুত্বহীন করে রেখেছিল। সিদ্ধান্ত তো যা নেয়ার তারাই নিয়েছে। এটা বিশেষ করে হয়েছে যখন দেখলো সাংবাদিকরা তাদের চেয়ে তারকা সদস্যদের প্রাধান্য দেয় তখন থেকেই।

বহুবার ভেবেছি এসব নিয়ে কথা বলি। কিন্তু সেই সুযোগটা আসেনি। তাছাড়া শিল্পী হয়ে শিল্পী সমিতি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে ইচ্ছাও করেনি। ভেবেছি সরে যাবো, যা পারে তারা করুক। কেউ যদি কোনো দিন পারে তাদের থামাবে। কিন্তু এখন তারা আমার বা আরও অনেকের ওপর অন্যায় অভিযোগ চাপিয়ে দিচ্ছে। চুপ করে থাকার সুযোগ নেই।

আক্ষেপের বিষয় হলো, সিনিয়ররা অনেকেই না বুঝে তাদের হয়ে কথা বলছেন। হয়তো শিগগিরই তারাও তাদের ভুল বুঝতে পারবেন। এটা যত দ্রুত হবে সমিতির জন্য তত মঙ্গল।

এলএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন