পাঁচদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে মিশা-জায়েদকে উকিল নোটিশ
সামনে নির্বাচন। চলছে প্রচারণাসহ নানা রকম প্রস্তুতি। সবকিছু ঠিক থাকলে প্রধান কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের অধীনে ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। তবে তার আগেই সমিতির সদস্যপদ নিয়ে শুরু হয়েছে হৈচৈ।
অভিযোগ উঠেছে, সদ্য বিদায়ী কমিটি বেশ ক'জন সদস্যকে অন্যায়ভাবে বাদ দিয়েছেন। আবার অনেক সদস্যদের অযোগ্য হওয়া সত্ত্বে ও সদস্যপদ দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগ উঠেছে কমিটির সর্বশেষ সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে।
এবার জানা গেল নিজের সদস্যপদ বহাল রাখার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ফাইট ডিরেক্টর মো. শেখ শামীম। অন্যায়ভাবে তার সদস্যপদ বাতিল করার অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বরাবর উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের নামে উকিল নোটিশ পাঠান তিনি। নোটিশে শামীম অভিযোগ করেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচন সামনে রেখে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি অন্যায়ভাবে তার সদস্যপদ বাতিল করেছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, পাঁচদিনের মধ্যে যদি পূর্ণ সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়া না হয় তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।
শামীম জাগো নিউজকে বলেন, নব্বই দশক থেকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য তিনি। তখন থেকেই সমিতির নির্বাচনে নিয়মিত ভোট দিয়ে আসছেন। কিন্তু ২০১৭ সালে যখন তিনি শিল্পী সমিতির চাঁদা দিতে যান তখন তিনি জানতে পারেন যে, তার সদস্যপদ নেই।
শাকিব খান ও অমিত হাসান ক্ষমতায় থাকাবস্থায় সদস্য তালিকা থেকে তার নাম ফেলে দেয়া হয়। সেটা ছিল ব্যক্তি আক্রোশ থেকে নেয়া সিদ্ধান্ত। শামীমের ভাষ্য, শুটিংয়ের জন্য ভারত থেকে একটি বন্ধুক আনা নিয়ে শাকিবের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। শাকিব খানের হাতে এ ঘটনার জেরে লাঞ্ছিতও হন শামীম। পাশাপাশি অন্যায়ভাবে তার সদস্যপদ বাতিল করে দেয়া হয়।
ফলে সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি ভোট দিতে পারেননি। আশায় বুক বেঁধেছিলেন মিশা-জায়েদ প্যানেল ক্ষমতায় এলে তার সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের দায় মিটবে। কিন্তু দেখতে দেখতে দুই বছর পার হয়ে গেলেও তার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে সদস্যপদ ফিরে পেতে মৌখিক ও লিখিত আবেদন করেন। তবুও তারা নতুন ভোটার তালিকায় তাকে জায়গা দেননি শামীমকে।
সর্বশেষ ভোটার তালিকায় নিজের নাম দেখতে পাননি শামীম। সেজন্য এবার তিনি আদালতে গেছেন। আইনি লড়াইয়ে নিজের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশী তিনি।
এদিকে উকিল নোটিশের প্রাপ্তি স্বীকার করেননি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি গণমাধ্যমে দাবি করেন, ‘আমরা কোনো উকিল নোটিশ পাইনি। পেলে অবশ্যই আমরা নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবো।’
তবে তিনি জানান, মো. শেখ শামীমের সদস্যপদ বাতিল হয় সাত-আট বছর আগে। তিনি শিল্পী সমিতির সদস্য নন। তাই এখন উকিল নোটিশ পাঠানো ভিত্তিহীন। এটা হতে পারে কোনো চক্রান্ত।
এলএ/জেআইএম