উপর মহলের প্রভাব নিয়ে মৌসুমীর অভিযোগে যা বললেন মিশা-জায়েদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পীদের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমী। আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে এফডিসিতে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন এই চিত্রনায়িকা।
এসময় তার সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইলিয়াস কোবরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন চিত্রনায়ক ওমর সানী।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নির্বাচনে অদৃশ্য উপর মহলের প্রভাবে আক্ষেপ প্রকাশ করেন মৌসুমী। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন সভাপতি প্রার্থী মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জায়েদ খান।
নিজেদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। মৌসুমীর অভিযোগ প্রসঙ্গে মিশা বলেন, ‘এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। আমার সহকর্মী মৌসুমী প্রার্থী হয়েছেন। তাকে আমি অভিনন্দন জানাই। তবে সে যেসব কথা বলছে আমি তার সাথে একমত হতে পারলাম না। সত্যি যদি কোনো প্রভাব কেউ খাটিয়ে থাকে তবে মৌসুমী তার প্রমাণ দিক।’
একই সুর শোনা গেল সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জায়েদ খানের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন চাই। এখানে কোনো অনৈতিক প্রভাবের সুযোগ নেই। আমরা মাত্র ২১ জন নিয়ে প্যানেল দিয়েছি। আরও ৪০০ জনের বেশি সদস্য বাকি। তাদের নিয়ে প্যানেল না করতে পারলে কারো তো কিছু করার নেই।
উনারা হয়তো আমাদের প্যানেল দেখে ভয় পেয়ে এসব ভিত্তিহীন কথা বলছেন। কোনো প্রমাণ থাকলে তারা সেটা নিয়ে কথা বলুক।’
জায়েদ আরও বলেন, ‘এটা আসলে একটা মালাবদলের নির্বাচন। যিনি আমার বিপরীতে জিতে আসবেন আমি নিজে তাকে মালা পরিয়ে বিদায় নেব। কোনোরকম গুজব ছড়িয়ে লাভ নেই।’
প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
আজ ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এদির ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেন সভাপতি পদে মৌসুমী, মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরা, জায়েদ খান ও ডি এ তায়েব। আরো জমা দিয়েছেন ডিপজল, ইমন, জয় চৌধুরী, জ্যাকি আলমগীর, অঞ্জনা, রোজিনাসহ একঝাঁক শিল্পী।
এলএ/এমএবি/এমকেএইচ