ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

প্রেমিকার দাবি মাদকাসক্ত ও নারীলোভী নোবেল!

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৯

সমালোচনার নায়ক যেন মাইনুল আহসান নোবেল। যিনি নেট দুনিয়ায় নোবেলম্যান নামেই পরিচিত। কলকাতার সা রে গা মা পা অনুষ্ঠান থেকে আলোচনায় আসেন তিনি। বিভিন্ন শিল্পীর গলাকে নকল করে তাদের জনপ্রিয় সব গান গেয়ে তিনি পরিচিতি পান ও আলোচনায় আসেন।

প্রচারণার ডামাঢোলে নোবেলকে নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই। কিন্তু আচরণ ও আলাপচারিতায় অপরিপক্কতার প্রমাণ দেয়া নোবেল এরইমধ্যে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে অনেকের কাছে ‌‌বিরক্তিরও পাত্র। কোরবানি ঈদের আগ মুহূর্তে নোবেল ‌জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্কিত এক মন্তব্য করে কলকাতা ও বাংলাদেশ দুই দেশের সংগীতপ্রেমীদের রোষানলের শিকার হন।

এবার সেই নোবেল আলোচনায় নগ্ন ছবি দিয়ে। সম্প্রতি এক কিশোরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ হয়েছে ছবিগুলো। সেইসঙ্গে নোবেলকে মাদকসেবী, নারীলোভী আখ্যা দিয়ে ওই কিশোরী আবেগঘন একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। যেখানে নোবেলের সঙ্গে তার প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কের নামে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন তিনি।

শাহরিন সুলতানা নামের সেই কিশোরীর আইডিটি ফেসবুকে আর দেখা না গেলেও নোবেলকে নিয়ে দেয়া তার স্ট্যাটাস ও নগ্ন ছবিগুলো দুই বাংলাতেই এই মুহূর্তে ভাইরাল। অনেক ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাচ্ছে নোবেলকে নিয়ে রসালো ফিচার ভিডিও। অনেক গণমাধ্যমেও এসেছে বিষয়টি।

বিশেষ করে কলকাতার গণমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইয়ে দেয়া হয়েছে নোবেলকে নিয়ে। কলকাতার গণমাধ্যমে নোবেলকে নিয়ে সংবাদের শিরোনাম করা হয়েছে ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, নোবেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কিশোরীর’।

রহস্য জনক ব্যাপার হলো যে কিশোরীর ফেসবুক থেকে ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে তার পরিচয় মেলেনি এখনো। কারণ ছবিগুলো পোস্ট করার পর সেই অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভ রয়েছে। অ্যাকাউন্টটি নিজেই ওই কিশোরী আড়ালে রেখেছেন নাকি তার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এই আইডিটি ফেক কী না সেই বিষয়েও কোনো নিশ্চিত তথ্য মিলেনি।

তবে অল্প সময়ের মধ্যেই নোবেলকে নিয়ে লেখা স্ট্যাটাস ও নগ্ন ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। সেগুলো পোস্ট করে অনেকেই নোবেলের চারিত্রিক দুর্বলতার সমালোচনা করছেন। অনেকে অবশ্য নোবেলের পাশেও দাঁড়াচ্ছেন। তাদের দাবি, এই তরুণের জনপ্রিয়তাকে হিংসা করে তার বিরুদ্ধে বানোয়াট গল্প তৈরি করা হয়েছে। ছবিগুলোকে ফটোশপের কারসাজি বলে দাবি করছেন তারা।

এদিকে শাহরিন সুলতানার ওই পোস্টের পর প্রায় ১০ ঘণ্টা ফেসবুকে দেখা যায়নি দশ লাখেরও বেশি ফলোয়ার সমৃদ্ধ নোবেলের ফেসবুক পেজটি। এই বিষয়টিকে অনেকেই উল্লেখ করছেন নোবেলের বিপক্ষে। তাদের দাবি, নোবেলের বিপক্ষে আনা ওই কিশোরীর অভিযোগ সত্যি বলেই নোবেল নিজের পেজ ডিঅ্যাক্টিভ রেখেছিলেন। অনেকেই দাবি করছেন, ভাইরাল হওয়া নোবেলের নগ্ন ছবিগুলো তার নিজের বাসাতেই তোলা। তারই বেডরুমে। সেগুলো ওই কিশোরীকে পাঠিয়েছেন নোবেল। এইসব ছবি ফটোশপ হওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম।

তারা নোবেলকে নিয়ে গণমাধ্যমের মাতামাতির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকে এমন দাবিও করছেন, বারবার নোবেল নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন। তবু তাকে নিয়ে কোন সমৃদ্ধির শিল্প সংস্কৃতির স্বপ্ন দেখা হচ্ছে?

এদিকে এই বিষয়ে জানতে নোবেলের সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগ করে জাগো নিউজ। তবে নোবেলের কোনো বক্তব্য মেলেনি। তার ঘনিষ্ট সূত্রগুলোও মুখ বন্ধ করে রেখেছে। তবে প্রিয় তারকার সম্মান বাঁচাতে নানা যুক্তি তর্ক নিয়ে অনলাইনে লড়াই করছেন নোবেল ভক্তরা।

প্রসঙ্গত, শাহরীন সুলতানা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘নোবেল, বাংলাদেশের লাখো মেয়ের ভালোবাসা। লাখো ছেলের আইডল। কিন্তু একমাত্র গোপালগঞ্জবাসীরাই চিনে ওর আসল রূপ। আজ আমি আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব ভোলাভালা চেহারার পিছে লুকিয়ে থাকা এক হিংস্র জানোয়ারের সাথে যাকে আপনারা সবাই নোবেলম্যান নামে চিনেন।

আমার মতো অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের মিথ্যা প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ইজ্জত নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার উপর যদি নোবেল থাকতো, তাহলে তা এই সারাগামাপা খ্যাত মাদকাসক্ত নোবেল-ই পেতো। মাদক আর নারীর নেশায় আসক্ত নোবেলকে আজ যখন কোটি মানুষ আইডল মানে, তা দেখে আসলেই দেশের ফিউচার জেনারেশান নিয়ে খুব ভয় হয়।

মাদকাসক্ততার কারণে দুইবার রিহ্যাবে গিয়ে মাদকের নেশা থেকে কয়েকদিন দূরে ছিল। কিন্তু নারীর নেশার জন্যতো রিহ্যাব নেই। আর এটি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার মতো শত শত মেয়ের জন্য।

নোবেলের সাথে আমার পরিচয় হয় গত বছরে, যখন আমার বয়স মাত্র ১৫। প্রেম ভালোবাসা এগুলো তত বুঝতাম না। নোবেল আমাকে বুঝতে শিখায় ভালোবাসা কি। বয়স কম থাকার কারণে ওর প্রতিটা ফাঁদে খুব সহজেই পরে যাই। এই ফাঁদে শুধু আমি পড়িনি। আমার মতো আরো অনেক মেয়েই পড়েছে। মেয়েগুলো বেশিরভাগি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল।

NOBEL-2

কিন্তু নোবেলের বিরুদ্ধে মুখ খুলার সাহস সব মেয়েগুলোর দিন দিন নোবেলের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে ক্রমশ কমতে থাকে। আজ আমি কিছুটা সাহস নিয়ে আসলাম। আমি ডিপ্রেশানে চলে গিয়েছি। মাঝে মাঝে নিজের জীবনটা দিয়ে দিতে মন চায়। কিন্তু আত্মহত্যা মহাপাপ বলে তা পারি না। যদিও আমার আত্মাটা নোবেল আরো আগেই মেরে ফেলেছে।

আপনারা সবাই ভাবছেন নোবেল এগুলো কেমনে করে? আমি যদি বলি ওর এই সকল কুকর্ম ওর বাবা মা-ও জানে তাহলে বিশ্বাস করবেন? প্রত্যেকটা মেয়েকে ও ওর বাসায় নিয়ে যায় ফিজিক্যালি ইনভল্ব হওয়ার জন্য। ওর বাবা মার সাথেও পরিচয় করায় বন্ধু হিসেবে।

অন্যদিকে মেয়েটাকে আশ্বাস দেয় যে বাবা মার সাথে তো পরিচয় হয়েছেই। বিয়েও করবে মেয়েটাকে। এখনতো সব করা যায়। আমিও এই ফাঁদে পা দিয়েছি। ওর পিপাসা মিটলে ওর ওই বাবা মার সামনেই মেয়েটাকে অপমান করে বের করে দেয়। আর ওর বাবা মা কিছুই বলে না। তাই ওর এমন হওয়ার পিছে ওর পরিবারো দায়ী!

নোবেলের নিজের একটা বোন আছে। কীভাবে সে অন্যের বোনের জীবন এভাবে ধ্বংস করে আমার জানা নেই। অনেকেই বলবেন ওর নামে কেস করতে। ওর নামে কেস করেও লাভ নেই। পুলিশ ওর বাবার পকেটে থাকে।

সবশেষে বলবো যে আমি জানি এই সমাজ আমাকেই খারাপ বলবে। আমি-ই গালি খাবো নোবেলের ফ্যানদের থেকে। কারণ আমাদের সমাজে সব দোষ মেয়েদেরই হয়। এই পোস্ট দিয়ে নোবেলের কিছুই হবেনা এটাও আমি জানি। কিন্তু যাই হোক না হোক, আমার ভিতরের মৃত আত্মাটার কিছুটা শান্তি হবে এই জানোয়ারটাকে সবার সামনে তুলে ধরতে পারলে।

ওর আসল চেহারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের দেখা উচিৎ। ওর মত ছেলে লাখো ছেলের আইডল হোক, এটি মেনে নেওয়া যায়না। শত মেয়ের জীবন নষ্টের কারণ কোন মেয়ের ক্রাশ হতে পারে না।

ওর ব্যাপারে সর্বশেষ জানলাম যে ঈদের আগের দিনও মাতাল হয়ে গোপালগঞ্জের একজনের উপরে মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়। তার মানে রিহ্যাবে গিয়েও লাভ হয়নি। ও এখনো মাদক সেবন করে। আর নারীর নেশা কাটানোর জন্যতো রিহ্যাব ও নেই। এই নেশা ওর কাটবে না!

আপনাদের বিশ্বাস করানোর জন্য কিছু ছবি দিলাম। ছবিগুলো কিছু ও তুলেছে কিছু আমি আমার আর ওর ছবি, ওর বাসার রুমের ছবি (বিশ্বাস না হলে ওর বাসায় গিয়ে দেখে আসেন), কিউট হয়ে ঘুমিয়ে থাকার ছবিটিও দিলাম।’

এমন ভয়াবহ অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ার পরও নোবেলের নিরবতায় বিস্ময় বাড়ছে শোবিজে। কেন নিজেকে গুটিয়ে নিলেন নোবেল সেই প্রশ্নও উঠছে। এইসব স্ট্যাটাস ও নগ্ন ছবি মিথ্যা এবং বানোয়াট হলে ওই কিশোরী বা কিশোরীর ফেসবুক আইডিটি শনাক্ত করে নোবেলের প্রতিবাদ করা জরুরি বলে মনে করেন সংগীতাঙ্গনের মানুষেরা।

এমএবি/এলএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন