ঈদের সিনেমায় ডেঙ্গু আতঙ্ক
বাঘ ভাল্লুক নয়, মানুষের ভয় এখন ক্ষুদ্র প্রাণি মশার। এডিস মশার কামড়ে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এই ভয়ানক জ্বরে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ঢাকা শহরের বাসিন্দারা। নগরের হাসপাতালগুলো ভরে গেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীতে।
অনেকে রক্তে প্লাটিলেট বিপদজনকভাবে কমে যাওয়ায় মারাও গিয়েছেন। যা ভাবিয়ে তুলেছে সারা দেশের মানুষকে। স্বাভাবিকভাবেই দেশের উচ্চপদস্থ আমলা থেকে খেটে খাওয়া সাধারণ দিনমজুর সবাই এখন ডেঙ্গু জ্বরের আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। সরকারিভাবে নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ডেঙ্গুর মোকাবিলায়।
তার অংশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সাবধানতায়। তার প্রভাব পড়বে ঈদের সিনেমা মুক্তি পাওয়া হলগুলোতেও। এমনটাই আশংকা করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
তারা মনে করছেন, দেশের আশিভাগ সিনেমা হলের পরিবেশ আশাব্যঞ্জক নয়। সেগুলোতে মশার প্রকোপ সারা বছরই থাকে। দর্শকরা প্রায়ই সিনেমা হলের ভেতরে মশা ও ছাড়পোকা নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন। এবার এডিস মশার আতঙ্ক দর্শকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যার ফলে ঈদের সিনেমার ব্যবসায় ধ্বস নামতে পারে।
মশা ছাড়া দেশের বন্যা পরিস্থিতিও ঈদের সিনেমায় মন্দ প্রভাব ফেলবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। সারা দেশের প্রায় ১৫-২০টি জেলা বন্যা আক্রান্ত। পানিবন্দি মানুষের জীবনে এখন জানমাল নিয়ে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ। তাদের জীবনে এবার ঈদ হাজির হবে বিষাদ নিয়ে। সেখানে বিনোদনের জন্য সিনেমা হলে যাওয়াটা তাদের কাছে প্রত্যাশা করা যায় না।
পরিবেশক সমিতিতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ডেঙ্গু ও বন্যার আতঙ্ক সেখানেও। তারা বন্যাকবলিত এলাকাগুলোকে এড়িয়ে সিনেমা মুক্তির কথা ভাবছে। সেইসঙ্গে ডেঙ্গু এড়াতে সিনেমা হলগুলোর পরিবেশ পরিষ্কার ও ঝুঁকিমুক্ত রাখতে হল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করছে।
প্রসঙ্গত, আসছে কোরবানির ঈদে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ও ‘বেপরোয়া’ ছবি দুটি মুক্তি পাবে। প্রথম ছবিটিতে জুটি বেঁধে হাজির হবেন শাকিব খান ও শবনম ইয়াসমিন বুবলীকে। জাজ প্রযোজিত ‘বেপরোয়া’ ছবিতে ববির নায়ক রোশান।
এলএ/এমআরএম