ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

অদ্ভুত এক নারকেল গাছের মালিক তারিন ও লাভলু

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৯

ফয়জু মুন্সি ডিভিডিতে বাংলা ছবি দেখায়। চা দোকানের পেছনে তার মিনি সিনেমা হল। সেখানে গ্রামের পোলাপানের আড্ডাখানা। দুপুরের শোতে নায়ক জসিম যখন জাম্বুর মাথা ফাটাচ্ছিল বাংলা মদের বোতল দিয়ে, তখনই বাড়ি থেকে খবর পাঠায় ফয়জুর বউ সেতারা, উঠানের পাশে নাকি নারকেল গাছ কাঁদছে!

খবর শুনে অবাক হয়ে ফকির বাবা সাথে নিয়ে বাড়ি আসে ফয়জু। নারকেল গাছের গোড়ায় বসে থাকে সারাদিন। সন্ধ্যা নামলে আবারো নারকেল গাছ কাঁদে। মনে হয় নারকেল গাছের উপরে কোনো বাচ্চা কাঁদছে।

ফকির বাবা ঘোষণা দেয় এটা আধ্যাত্মিক নারকেল গাছ। এই গাছের ছাল খেলে বন্ধ্যা মেয়েদের বাচ্চা হবে। অসুখ সারবে।

কথা রটে যায় পুরো অভিরামপুর গ্রামে। শুরু হয় পানি পড়া, গাছের ছাল নেবার লাইন। নারকেল গাছের নিচে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে যায় ফয়জু মুন্সি। ফকির বাবা পানি পড়া দেয়। ফয়জু টাকা পয়সা, হাস, মুরগি, লাউ কুমড়া - সব বুঝে নেয়।

রোগীর ঢল নামলে লাঠি আর বাশি হাতের সিকিউরিটি ও নিয়োগ দেয় ফয়জু। নগদ টাকার গরমে স্ত্রী সেতারা আর ফয়জু তখন আনন্দে ভাসে।

এই রকম একটি চিত্রকল্পের মাধ্যমে ভেসে ওঠে গ্রাম বাংলার কু-সংস্কারের বড় অংশ। আর সেই গল্পটিকেই এবার পর্দায় তুলে আনছেন নাট্যকার-নির্মাতা হিমু আকরাম। নাটকের নাম ‘ফয়জু মুন্সির নারকেল গাছ’।

নাটকে ফয়জু মুন্সি চরিত্রে অভিনয় করছেন সালাহউদ্দীন লাভলু আর সেতারা চরিত্রে তারিন। বিভিন্ন চরিত্রে আরও আছেন সিদ্দিকুর রহমান,হুমায়ূন সাধু, কাজী উজ্জ্বল, আলামিন, মাসুদ রানা মিঠু প্রমুখ।

গল্পটি প্রসঙ্গে সালাহউদ্দীন লাভলু বলেন, ‘এখানে আমি ফয়জু চরিত্রে অভিনয় করেছি। গ্রামের চা দোকানে মিনি সিনেমা হল চালাই। আমার নারকেল গাছের কান্না শুনে মানুষের ভীড় বাড়ে বাড়িতে। সিনেমা হল বন্ধ করে শুরু হয় পানি পড়ার ব্যবসা। সব মিলিয়ে চরিত্রটি বেশ মজার। যদিও এই নাটকের শেষ দিকে দর্শকরা অন্য একটি গল্প পাবেন। যেটা এভাবে ভাবেননি কখনও।’

এদিকে নির্মাতা-নাট্যকার হিমু আকরাম বলেন, ‘আমাদের ফেলে আসা জীবনের গল্প এটি। ছোট বেলায় গ্রামে এই ধরনের বহু ঘটনা দেখেছি। তারই আধুনিক রূপায়নে ফয়জু মুন্সির নারকেল গাছ। তবে গল্পের শেষটা অন্যরকম হবে।’

নির্মাতা হিমু আকরাম জানান ফয়জু মুন্সির নারকেল গাছ ঈদে আরটিভিতে প্রচার হবে।

এলএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন