সিনেমার সব সংকট দূর করার চেষ্টা চলছে : ফারুক
চলচ্চিত্র বিষয়ে সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শ এবং চলচ্চিত্রের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করার জন্য গঠন করা হয়েছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি। সম্প্রতি তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে ২৪ জন সদস্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ কমিটিতে আছেন ঢাকাই সিনেমার সোনালি দিনের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক এমপি।
চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি প্রসঙ্গে মিঞা ভাই খ্যাত ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমাকে ফোন করেও জানানো হয়েছে যে আমি এই কমিটিতে আছি। আমি চলচ্চিত্রের মানুষ এটা আমার বড় পরিচয়। সেই পরিচয়কে সম্মান জানিয়েই হয় তো এ কমিটিতে রাখা হয়েছে আমাকে। চলচ্চিত্র ভালোবাসি আমি। চলচ্চিত্রের কথা পার্লামেন্টেও বলি। এ কমিটিতে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবেই আরও কিছু দায়িত্ব বাড়লো। সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করবো।’
ফারুক বলেন, আমাদের দেশে মানুষের সবচেয়ে বড় বিনোদনের মাধ্যম হলো চলচ্চিত্র। দেশের সব শ্রেণির মানুষ একসময় দেশের সিনেমা দেখেই বিনোদন পেতো। এখন উচ্চ শ্রেণির মানুষদের জন্য বিনোদনের অনেক মাধ্যম আছে। কিন্তু মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষদের সেই সিনেমার দিন আর নেই। চলচ্চিত্রে ধস নেমেছে। সব সময় শুনতে হচ্ছে আমাদের এটা নেই, সেটা নেই।
আমাদের সংকটগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত। আমি মনে করি এখানে এক্সিবিউটর, প্রজেকশন নিয়ে সমস্যা আছে। এখন ডিজটাল সিস্টেমের বাইরে গিয়েও সিনেমা দেখা যাবে না।
আমি নিজেই প্রোডিউসার, ডিস্ট্রিবিউটর, এক্সিবিউটর, অভিনেতা ছিলাম। তাই আমাদের কী কী সমস্যা আমি সব জানি। এই কমিটিতে আরও যারা আছেন তারাও সবাই অভিজ্ঞ লোক, তারাও জানেন। শিগগিরই হয়তো একসঙ্গে বসা হবে আমাদের।
তবে যাই হোক না কেন ভালো পরামর্শ দেওয়া হবে। কারণ আমাদের সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী চান এই দেশের চলচ্চিত্র যেন আবার জেগে ওঠে। তার আগ্রহেই সিনেমার সব সংকট দূর করার চেষ্টা চলছে। আমরাও চেষ্টা করবো।
চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটিতে আরও আছেন তথ্যমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ সচিব, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক।
আরও আছেন চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইর একজন প্রতিনিধি, চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির একজন প্রতিনিধি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দীন নওশাদ, সারাহ বেগম কবরী, ড. ইনামুল হক, সুবর্ণা মুস্তাফা, চলচ্চিত্র সংসদের একজন প্রতিনিধি, দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, মোরশেদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র)/ যুগ্ম সচিব (চলচ্চিত্র), তথ্য মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনের তথ্যানুযায়ী এই কমিটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে। তাদের কাজ হবে- চলচ্চিত্র নীতিমালার আলোকে চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নে করণীয় বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান, চলচ্চিত্র নীতিমালায় বর্ণিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়নে করণীয় সম্পর্কে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ প্রদান, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান নীতি, আইন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করে এসব আইন, নীতি ও বিধির পরিবর্তন, সংশোধন ও পরিমার্জন, নতুন আইন প্রণয়ন।
এমএবি/এলএ/এমকেএইচ