ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

একাত্তর বছরে পা দিলেন আবুল হায়াত

প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক আবুল হায়াতের জন্মদিন ৭ সেপ্টেম্বর। এবারে তিনি ৭১ বছরে পা রাখলেন। এ উপলক্ষে চ্যানেল আই, আরটিভি ও ৭১ টিভিতে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন তিনি।

এ দিনের নানা আয়োজন ও সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে তিনি জানালেন, ‘জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ কোনো আয়োজন করি না। আমার দুই মেয়ে বিপাশা ও নাতাশা পুরো বাড়িটা উৎসব আমেজে ভরিয়ে দেয়। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতে না ছুঁতেই ওরা শুভেচ্ছা জানায়, কখনও বা কেক নিয়ে হাজির হয়। কেক কাটার পর হাসি-গান-আড্ডায় মেতে উঠি সবাই। অন্যদিকে সকাল হতে না হতেই আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা শুভেচ্ছা জানায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।’

আবুল হায়াত জানালেন, একইদিনে তার নাতনী শ্রীশারও জন্মদিন। তাই আনন্দটা হয় দ্বিগুণ।

আবুল হায়াত আরো জানালেন, ১১ সেপ্টেম্বর নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকে মাখন গাজী চরিত্রে অভিনয় করবেন। বের্টোল্ড ব্রেখটের এই নাটকটি রূপান্তর করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। নির্দেশনায়ও তিনি। ১৯৭৮ সালে এতে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন এই অভিনেতা।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহন করেন তিনি।[৩] আবুল হায়াতের বাবা আব্দুস সালাম ছিলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে ওয়াজিউল্লাহ ইন্সটিটিউটের সাধারন সম্পাদক। স্কুল জীবন কাটে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট ও রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে মেটৃকুলেশন (বর্তমান এসএসসি) পাস করে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করে ১৯৬২ সালে বুয়েটে ভর্তি হন। বুয়েটে পড়ার সময়ই শেরেবাংলা হলে থাকতেন। এরপর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে ১৯৬৭ সালে পাস করে ১৯৬৮ সালেই ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী পদে যোগ দেন।

১৯৬৯ সালে ইডিপাস নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো টিভি স্ক্রিনে তার অভিনয়ের অভিষেক ঘটে। তারপর থেকে টিভি নাটকে, সিনেমায় আর বিজ্ঞাপনে সফলতার সাথে অভিনয় করে আসছেন। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ রচিত প্রচুর নাটকে তিনি অংশ নিয়েছেন। ‘মিসির আলি’ তার একটি স্মরণীয় চরিত্র। তার প্রথম নাটক ইডিপাস ১৯৬৯ সালে বের হয়েছিল। এর পর একে একে ৫০০’রও অধিক নাটকে অভিনয় করেছেন।

আবুল হায়াত সাহিত্যিক হিসেবেও নাম কামিয়েছেন। তার লেখা প্রথম উপন্যাসটি বের হয় ১৯৯১ সালের বই মেলায়। উপন্যাসটির নাম ছিল ‘আপ্লুত মরু’। এরই ধারাবাহিকতায় একে একে বের হয় ‘নির্ঝর সন্নিকট’, ‘এসো নীপ বনে’ (তিন খণ্ড), ‘অচেনা তারা’, ‘জীবন খাতার ফুট নোট’, (দুই খণ্ড) ও ‘জিম্মি’।

তিনি ১৯৭০ সালে মেজ বোনের ননদ মাহফুজা খাতুন শিরিনকে বিয়ে করেন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান বিপাশা হায়াতের। ছয় বছর পর জন্ম নেয় নাতাশা।

এলএ