শুভ জন্মদিন কুমার বিশ্বজিৎ, চঞ্চল চৌধুরী
‘তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে’, ‘তুমি রোজ বিকেলে’ কিংবা ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ এর মতো গান দিয়ে এখনও শ্রোতাদের হৃদয়ে চির সবুজ হয়ে আছেন কুমার বিশ্বজিৎ। তার জনপ্রিয় গানের তালিকা হুট করে বলেই শেষ করা যায় না। এখনও সমান তালেই গেয়ে চলেছেন তিনি।
অন্যজন অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে চলেছেন ছোট পর্দা ও বড় পর্দায়। যেকোনো চরিত্রেই যেনো মানানসই তিনি। তার অভিনীত ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রটি গেল এক যুগের সেরা ব্যবসা সফল ছবির একটি। তিনি আর কেউ নন চঞ্চল চৌধুরী।
শোবিজের দুই ভুবনের এ দুই তারকার জন্মদিন আজ। জাগো নিউজের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ঘড়িতে রাত ১২টা ১ বাজার পর থেকেই ভক্ত শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন তারা।
১৯৬৩ সালের ১ জুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ। চট্টগ্রাম জেলায় তার শৈশব কেটেছে। ‘তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে’ গান দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি পেয়েছিলেন জনপ্রিয় গায়কের খ্যাতি। এরপর বহুদূর এগিয়ে এসেছেন। বাংলা আধুনিক কিংবা চলচ্চিত্রের গানে দীর্ঘ চার দশক ধরে কণ্ঠ দিচ্ছেন কুমার বিশ্বজিৎ। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন।
অন্যদিকে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে ১৯৭৪ সালের ১ জুন জন্মগ্রহণ করেন চঞ্চল চৌধুরী। গ্রামের স্কুল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হন।
ছোটবেলা থেকেই তার গানবাজনা, আবৃত্তি আর নাটকের প্রতি নেশা ছিল। পরে তার মঞ্চনাটকের প্রতি একটা আগ্রহ সৃষ্টি হয়। মামুনুর রশীদের আরণ্যক নাট্যদলে কাজ করার মধ্যদিয়েই অভিনয় জীবনের শুরু হয়। মামুনুর রশীদের লেখা ‘সুন্দরী’নাটকে ছোট একটি চরিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। তিনি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো, অভিনয়, গান, ছবি আঁকা এসব কিছুতেই সমান পারর্দশী।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ‘তাল পাতার সেপাই’ নাটক দিয়ে দর্শকের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন এ মঞ্চ অভিনেতা। তারপর থেকেই তিনি মঞ্চের পাশাপাশি বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন টিভি নাটকে। তিনি ২০০৯ সালে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ ছবিতে এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত টেলিভিশন ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ‘আয়নাবাজি’ ও সর্বশেষ দেবী সিনেমাতে দর্শকের মন জয় করেন তিনি।
এমএবি/এনডিএস/