সাংবাদিকদের চোর সন্দেহ করে ক্ষমা চাইলেন শমী কায়সার
‘বিন্দু ৩৬৫’ নামের একটি ট্যুরিজম কোম্পানির যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। বেনজীর আহমেদ বক্তব্য দিয়ে বের হয়ে গেছেন, তখনও উপস্থিত হননি প্রধান অতিথি।
অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র তারকা জয়া আহসান, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শমী কায়সারের উপস্থিতিতে চলছিল কেক কাটার আয়োজন।
অনুষ্ঠানে দেখা যায় কেক কাটা শেষ হতে না হতেই শমী কায়সার চিৎকার করে বলেন, তার দুটি ফোনই হারিয়ে গেছে। ভরা মজলিস থেকে ফোন চুরি যাওয়ার ঘটনায় হতবাক শমী কায়সার। বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
এসময় পুরো মিলনায়তনে হট্টগোল শুরু হয়। ক্ষুব্ধ শমী কায়সার বলেন, ‘মিলনায়তনে উপস্থিত প্রত্যেকের পকেটে তল্লাশি চালিয়ে হলেও ফোন দুটি খুঁজে বের করা হবে।’ মিলনায়তনে উপস্থিত সবাইকে তল্লাশি চালানোর উদ্যোগ নিলে উপস্থিত অনেক সাংবাদিক প্রতিবাদ জানান। পরে মিলনায়তনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ফোন চুরির ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সিসিটিভি ও উপস্থিত টিভি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজে দেখা যায়, কেক কাটার সময় কেকের পাশেই থাকা শমী কায়সারের ফোন দুটি চুরি করে নেয় সাদা টি-শার্ট পরিহিত এক তরুণ, ভিডিওতে তার মুখ দেখা যায়নি।
‘বিন্দু ৩৬৫’ প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবীরা অনুষ্ঠানে ওই টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চেহারা দেখা না যাওয়ায় তারা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না আদৌ ওই তরুণ তাদের স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন কি না।
এ বিষয়ে ‘বিন্দু ৩৬৫’-এর উদ্যোক্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ঘটনা। আমার আমন্ত্রণে অতিথিরা এসেছেন, আমি খুব বিব্রত। সাংবাদিক-অতিথি সবার কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি। আশা করি সবাই বিষয়টিকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।’
শমী কায়সার বলেন, ‘এটি অত্যন্ত বাজে একটি দৃষ্টান্ত হলো। আবার ফোন তল্লাশির কথায় অনেকে কষ্ট পেয়েছেন, সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করেছেন। আমি সত্যিই খুব দুঃখিত। এই ফোন দুটিতে আমার সবকিছু ছিল। ফোন দুটি হারিয়ে সত্যিই আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলাম।’
শেষে চোর শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানান শমী। সাংবাদিকদের ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও মিলনায়তনের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করা হয়।
এমএবি/এলএ/পিআর