বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটিতে একঝাঁক তারকা
ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা সায়েরা খাতুন।
আগামী বছরের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হবে। এই দিনটিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এ উপলক্ষে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে সভাপতি করে ১০২ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি এবং জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করে ৬১ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটি করে সরকার।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২০ মার্চ জাতীয় কমিটি ও বাস্তবায়ন কমিটির যৌথসভা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয় স্থাপন করে সেখানে কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
‘২০২০ সালের ১৭ মার্চ হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত বছরব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর বিষয়ভিত্তিক উপকমিটি গঠন করা হয়।’
উপ-কমিটিগুলোকে দ্রুততম সময়ে তাদের স্ব স্ব বিষয়ে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে সেগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বাজেট নির্ধারণের অনুরোধ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
৮টি উপকমিটি হলো সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও আলোচনা সভা আয়োজন, আন্তর্জাতিক কর্মসূচি ও যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আয়োজন, প্রকাশনা ও সাহিত্য, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ও অনুবাদ, ক্রীড়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন, মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন এবং চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র।
তারমধ্যে চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র উপকমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বরেণ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামকে। সেখানে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফারুক।
অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আরও আছেন আলমগীর, রিয়াজ, ফেরদৌস, এটিএম শামসুজ্জামান, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কবরী সারোয়ার, ডলি জহুর, শমী কায়সার, সাবেক মন্ত্রী ও অভিনেত্রী তারানা হালিম।
কমিটিতে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে সদস্য হিসেবে আছেন নাসির উদ্দিন ইউসূফ বাচ্চু, মোরশেদুল ইসলাম, মাসুদ পথিক, অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও পিপলু খান।
আরও রয়েছেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, চলচ্চিত্র প্রযোজক গাউসুল আজম শাওন, রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির আহমেদ মুস্তফা জামাল, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব।
প্রসঙ্গত, আসছে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতবছর এক অনুষ্ঠানে বলেন, এ আয়োজনে সকল বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। শিশু, তরুণ, যুবক- সকলের জন্য আলাদা কর্মসূচি থাকবে। আয়োজনের বিস্তৃতি থাকবে দেশের সকল ওয়ার্ড পর্যন্ত।
এলএ/এমএস