হাজার হাজার বাল্যবিবাহ বন্ধের সাহসী গল্প
দেশসেরা মাইক্রোসফট ল্যাবের পুরস্কার জিতেছে কুড়িগ্রামের ‘আশার আলো পাঠশালা’। বাল্যবিয়ে থেকে মুক্ত করে শিক্ষার আলোয় ফিরিয়ে আনা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দিতেই এই ল্যাবটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। গেল বছর ২১ অক্টোবর সাভারে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কুমার বিশ্বজিৎ বর্মনের হাতে পুরস্কারের ৫ লাখ টাকা তুলে দিয়েছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে হাজার হাজার বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে ? সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দিতে কীভাবে এগিয়ে চলেছে তারা। এবার বাংলাদেশ বেতারে সেই সব গল্পই শোনাতে আসছেন
‘আশার আলো পাঠশালা’ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক কুমার বিশ্বজিৎ বর্মন।
‘আলোকবর্তিকা’ অনুষ্ঠানটি প্রতি মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বুধবার বিকেল ৪ টায় প্রচারিত হবে। এফ এম ১০৪ মেগাহার্জ ও এ এম ৬৩০ কিলোহার্জ-এ। আজ বিকেল ৪টায় প্রচার হবে অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্ব। আর এখানে গল্প শোনাবেন কুমার বিশ্বজিৎ বর্মন। অনুষ্ঠানটি অনলাইনে সারাবিশ্ব থেকে শোনা যাবে www.betarprogram.org -তে।
কুমার বিশ্বজিৎ বর্মন জানালেন, গত ১২ বছরে প্রায় ১০০০ এর অধিক বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন তারা। প্রামিত্মক পর্যায়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তারা কাজ করে চলেছেন। আশার আলো পাঠশালার মাধ্যমে তারা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আইটি শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এই আশার আলো পাঠশালার একজন শিক্ষার্থী ফাতেমা খাতুন। যিনি গৃহকর্মী থেকে মাইক্রোসফ্ট এর শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন।
শুধু তাই নয়, ফাতেমা খাতুন এবার জাতীয় পর্যায়ে অনন্যা, সেরা ১০ নারীর একজন মনোনীত হয়েছেন। সমাজ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন অবদান রাখার জন্য আশার আলো পাঠশালার কর্ণধার কুমার বিশ্বজিৎ বর্মন কে জাতীয় যুব পুরস্কার-২০১৮ তে পুরস্কৃত করা হয়। সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে উক্ত পুরস্কার গ্রহণ করে।
মোঃ আল আমিন খানের প্রযোজনায় ‘আলোকবর্তিকা’ অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা করছেন সজীব দত্ত। তিনি জানান, বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাংলাদেশ বেতার এর আলোকবর্তিকা অনুষ্ঠানের লক্ষ্য- কুমার বিশ্বজিৎ বর্মন এর মত মানুষগুলোর কার্যক্রম সারাদেশের শ্রোতাদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে সমাজে আলো ছড়ানোর মত কার্যক্রমে উদ্ধুদ্ধ করা।
বিভিন্ন অঞ্চলে আলোকিত মানুষের জীবন ও কর্ম নিয়ে কোন ব্যক্তি বা সংগঠন তারা কিভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, কিভাবে সমাজ তথা দেশের কাজে অবদান রাখছেন, কিভাবে তারা আলোকিত করছেন চারিপাশের সমাজকে- তার আদ্যপ্রামত্ম শোনা যাবে আলোকবর্তিকা অনুষ্ঠানে।
এমএবি/এলএ/জেআইএম