দেশ ভাগের গল্পে সেলিম-শিবা
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান দেশভাগের সময় অনেক ঘটনা ঘটেছে। সেই ইতিহাস এখনো নাড়া দেয় মানুষকে। সেই সময় বাধ্য হয়েই শুধু মাত্র ধর্মের কারণে দেশান্তরী হতে হয়েছে অনেককে। পাকিস্তান থেকে যখন দলে দলে হিন্দুরা পালিয়ে আসছে ভারতে সেই সময় মা-বাবাকে হারিয়ে পাকিস্তানের রাওয়াল পিন্ডিতে থেকে যায় ৭ বছর বয়সের ছোট্ট মেয়ে আনুশকা। রাওয়ালপিন্ডির এক মুসলিম পরিবারে আশ্রয় পায় সে।
পরিচয় পাল্টে যায় তার। ছোট্ট আনুশকা ঐ মুসলিম পরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে, তার নাম হয়ে যায় সুরাইয়া। তাদের আদর্শে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে কোরআন হাদীসের জ্ঞান অর্জন করে সে, অত্র এলাকায় একজন সত্যিকারের পরিপূর্ন মুসলিম নারী হিসেবে বেড়ে ওঠে ৷ মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে। তার বিয়েও হয়। স্বামী, সন্তান সুখের সংসার নিয়ে জীবনের ৩২ টি বছর পার হয়ে যায় তার। একদিন হঠাৎ করেই কালের চক্রে তার অতীত এসে সামনে দাঁড়ায় ৷
দেশ ভাগের প্রেক্ষাপটে এমন গল্প লিখেছেন ভারতীয় লেখক ও সাংবাদিক কুলদীপ নারায়ণ ৷ আর এই গল্পেই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন অনিরুদ্ধ রাসেল। এর কাহিনী বিন্যাস করেছেন ও সংলাপ লিখেছেন সজল আহমেদ ৷ চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন সজল আহমেদ ও অনিরুদ্ধ রাসেল ৷ ভারটেক্স প্রডাকশন হাউজ প্রযোজিত স্বল্পদৈর্ঘটিতে অভিনয় করেছে শহীদুজ্জামান সেলিম, শিবা আলী খান, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ।
নির্মাতা অনিরুদ্ধ রাসেল বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা শুটিং শেষ করেছি। এখন ডাবিংয়ের কাজ চলছে। এরপর কালার গ্রেডিং ও মিউজিকের কাজ করবো। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে পাঠাবো আমাদের চলচ্চিত্রটি।’
এমএবি/এলএ/পিআর