বেঁচে থাকতে চান কণ্ঠশিল্পী স্বীকৃতি
স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পী স্বীকৃতি। সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে গেলে ধরা পড়ে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন এই গায়িকা। তার অসুখের নাম লিম্ফোমা।
স্বীকৃতি জানান, অসুখ নির্ণয় শেষে সেখানেই তাকে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি হতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ভর্তি না হয়েই দেশে ফিরে আসেন গত ২৮ আগস্ট। এখন অপেক্ষায় আছেন উন্নত চিকিৎসার, যার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত অর্থ।
সে জন্য তিনি প্রিয়জন, বন্ধু ও দেশবাসীর কাছে দোয়া ও সাহায্য চাইলেন স্বীকৃতি। স্বীকৃতি তার ফেসবুকে বেঁচে থাকার আকুতি নিয়ে লিখেছেন, ‘প্রিয় আপনজন ও বন্ধুজন। অনেক বেশি বেশি গান গাইতে চাই। সুস্থ হয়ে উঠতে চাই। সবার সাথে বন্ধুত্ব আড্ডায় মেতে উঠতে চাই। ছোট্ট বাচ্চাটাকে বড় হতে দেখতে চাই। আমার ৭ বছরের বাচ্চাটা তো কিছুই বোঝেনা, সে জানে তার মাকে ব্লাড দিলেই সুস্থ হয়ে উঠবে। আমিও বাঁচতে চাই আমার সন্তানের জন্য। প্লিজ আল্লাহ্ আমাকে সাহায্য করো। আমার আপনজনদের হেল্প আমি কামনা করছি।’
সাম্প্রতিক সময়ে তার আরেকটি স্ট্যাটস ছিল এমন, ‘বুঝতেই পারলাম না কখন কি করে এমন কঠিন অসুখ বাঁধিয়েছি ! ডাক্তার মুখের উপর বলে দিলেন, লিম্ফোমা নামের কঠিন অসুখ এখন আমি আমার শরীরে বহন করছি। প্রচুর টাকা লাগবে এতো টাকা পাবো কই? আল্লাহ্ এত বড় পরীক্ষা কেন নিচ্ছেন! প্লিজ সব্বাই উদার মনে আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার সকল বন্ধু বান্ধব ও আপন জনের কাছে অনেক দোয়া চাই।’
এই কঠিন ব্যাধির চিকিৎসা স্বীকৃতি ও তার পরিবারের একার প্রতি বহন করা সম্ভব নয়। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগীত সংশ্লিষ্টরা।
ব্যক্তিগত জীবনে স্বীকৃতি এক সন্তানের মা। তার সাত বছর বয়সী মেয়ের নাম প্রত্যাশা। স্বীকৃতির স্বামী কাজী মাসুম সাকলাইন চাকরি করেন একটি ওষুধ কোম্পানীতে। স্বীকৃতিরা ৫ বোন ও দুই ভাই। স্বামীর সঙ্গে তিনি থাকেন উত্তরায়।
এলএ/পিআর