শক্তিমান খলনায়ক মিজু আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মিজু আহমেদের আজ (২৭ মার্চ) দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম একজন ভার্সেটাইল অভিনেতা ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ ঢাকা থেকে ট্রেনে করে সিনেমার শুটিংয়ের জন্য দিনাজপুরে যাওয়ার উদ্দশ্যে হৃদরোগে আত্রুান্ত হয়ে মারা যান এই অভিনেতা।
তার চলে যাওয়ার দুই বছর হয়ে গেল আজ। মিজু আহমেদকে ভুলে যাননি তার ভক্ত ও কাছের মানুষরা। মিজু আহমেদকে স্মরণ করছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও চলচ্চিত্রাঙ্গন।
মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম আবুল মোহাম্মদের ২ মেয়ে ও ৩ ছেলের মধ্যে মিজু আহমেদ ছিলেন সবার ছোট। বড় ভাই মরহুম লতিফুর রহমান, মেজ ভাই অ্যাড. আনিচুর রহমান। সবার আদরের ছোট ছেলে ছিলেন মিজু আহমেদ।
চলচ্চিত্রে মিজু আহমেদ হলেও তার প্রকৃত নাম মিজানুর রহমান। শৈশবকাল থেকেই তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। কুষ্টিয়ার স্থানীয় নাট্যদল নূপুর’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যামিস্ট্রি বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন মিজু আহমেদ।
ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। বড় মেয়ে কেয়া বিবাহিত। তার স্বামী ব্যবসায়ী। ছোট মেয়ে মৌ ইউল্যাব থেকে এমবিএ শেষ করেছেন। ছোট ছেলে হাসনাত পড়াশোনা করছেন ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। মিজু আহমেদের স্ত্রীর নাম পারভিন আক্তার।
১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কয়েক বছরের মধ্যে নিজেকে সেরা খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়াও তিনি তার নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস মুভিজ’র ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। অসাধারণ অভিনয়ের সুবাদে ১৯৯২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
গত ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় আহমেদ ইলিয়াস ভূঁইয়ার পরিচালনায় ‘মানুষ কেন অমানুষ’ নামের একটি ছবির শুটিং করতে দিনাজপুর যাওয়ার জন্য কমলাপুর থেকে ট্রেনে রওনা দেন। পথিমধ্যে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
পরিবারের ইচ্ছায় মিজু আহমেদকে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এমএবি/এলএ/এমকেএইচ