অসুস্থ বাবাকে নিয়ে মেয়ে আলিফ আলাউদ্দীনের অনুরোধ
দেশের বর্ষীয়ান সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলীকে শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে।রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন এই সুরের জাদুকর। শুক্রবার সকাল সাতটার পর থেকে আলাউদ্দীন আলীর রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাশাপাশি রক্তচাপ ও জ্ঞানের মাত্রা একেবারেই কমে যায়। সেই সময় তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার পর কিছু সময়ের মধ্যেই তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে।
অনেকেই অধীর আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইছেন আলাউদ্দীন আলীর বর্তমান অবস্থা কী? শনিবার বিকেলে কিংবদন্তি এই সুরকারের মেয়ে আলিফ আলাউদ্দীন বললেন, ‘বাবার শারীরিক অবস্থা আশংকামুক্ত নয়। আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত সবার ইনবক্স মেসেজের উত্তর দিতে পারছি না।’
আলিফ আলাউদ্দীন সবাই অনুরোধ করে বলেন, ‘আমাদের প্রাইভেসি কে সম্মান করুন। আমার বাবার বর্তমান অবস্থা জানার জন্য প্রতিযোগিতায় নামবেন না। বাবার শারীরিক অবস্থা আশংকামুক্ত নয়, তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। সবাই দোয়া করেন।
প্রসঙ্গত, আলাউদ্দীন আলী ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আলাউদ্দিন তার পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতে শিক্ষা নেন। ১৯৬৮ সালে তিনি যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন এবং আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন।
এরপর তিনি প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সালে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। তিনি 'গোলাপী এখন ট্রেনে' ছবির জন্য ১৯৭৯ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
তার সুর করা গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্যা একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়, দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়, হয় যদি বদনাম হোক আরো, আছেন আমার মোক্তার, আছেন আমার ব্যারিস্টার ইত্যাদি কালজয়ী সব গান।
এমএবি/এমএস