সময় মিউজিকের উপস্থাপনায় শাকির দেওয়ান
দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত পরিবারের সদস্য, লেখক, গীতিকার ও গবেষক শাকির দেওয়ান। বৃহস্পতিবার সময় টিভির অনলাইন আয়োজন ‘সময় মিউজিক’ লাইভ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন শাকির দেওয়ান। অনুষ্ঠানটি ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় সরাসরি দেখতে পারবেন দর্শকরা। সালাউদ্দিন সেলিমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ‘সময় মিউজিক’ প্রযোজনা করবেন জাহিদুল ইসলাম রিফাত।
অনুষ্ঠানে লেখক, গবেষক, গীতিকার শাকির দেওয়ানের সঞ্চালনায় বৈচিত্র্যময় সঙ্গীত জীবনের ঘটনাপ্রবাহ এবং প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা বলবেন বাঁশির জাদুকর জালাল আহমেদ। হারমোনিয়াম সঙ্গত করবেন প্রখ্যাত সুরকার- সঙ্গীতকার আতিকুর রহমান। তবলা বাজাবেন যশস্বী তবলা শিল্পী সাধন কুমার বিশ্বাস।
শাকির দেওয়ান বলেন, ‘বাঁশি সুপ্রাচীন ফুঁৎকার যন্ত্র। লোকবাদ্যরূপে এর ব্যবহার দেখা গেলেও রাগসঙ্গীত যন্ত্ররূপেও বাঁশির ব্যাপক কদর রয়েছে। প্রধানত বংশ বা বাঁশ দ্বারা নির্মিত হয় বলে বংশী বা বাঁশি নামেই এর সমধিক পরিচিতি। তবে কাষ্ঠ, কাংস্য, রৌপ্য, স্বর্ণ প্রভৃতিতেও বাঁশি নির্মিত হতে পারে।’
সঙ্গীতের এ জাদুকর বলেন, ‘বাঁশিকে বংশী, বেণু, মুরলী ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। ভারতে পান্নালাল ঘোষ, গৌর গোস্বামী, হিমাংশু বিশ্বাস, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, বাংলাদেশে আবদুর রহমান, মনিরুজ্জামান, বারী সিদ্দিকী, জালাল আহমেদ, গাজী আবদুল হাকিম প্রমুখ বাঁশি বাদনে ভূয়সী খ্যাতি অর্জন করেন। অনুষ্ঠানে সঙ্গীতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে। আশা করি দর্শকদের ভালো লাগবে।’
প্রসঙ্গত, শাকির দেওয়ান রচিত জনপ্রিয় শিল্পীদের কণ্ঠের গান নিয়ে ‘শাকির দেওয়ানের গান’ শীর্ষক অ্যালবাম সম্প্রতি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজার ভিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন গবেষক ও নাট্যকার ড. সাইমন জাকারিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পী দিলরুবা খান, সময় টিভির তথ্যপ্রযুক্তি ও সম্প্রচার প্রধান সালাউদ্দিন সেলিম, লেজার ভিশন চেয়ারম্যান এ কে এম আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, গীতিকার শাকির দেওয়ান এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পীরাসহ মিডিয়া ব্যক্তিরা।
আধুনিক, মরমী ও বিচ্ছেদী গান নিয়ে সংকলিত অ্যালবামের গানসমূহে কণ্ঠ দিয়েছেন সঙ্গীতজ্ঞ ও সুরকার আতিকুর রহমান, আরিফ দেওয়ান, অণিমা মুক্তি গোমেজ, পূর্ণচন্দ্র রায়, ফারহানা নিপা, আজাদ দেওয়ান মুক্তি, সাগর দেওয়ান, মোকলেস দেওয়ান। অ্যালবামের গানগুলো লেজার ভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এএসএস/এমআরএম/এমএস