নিরাপদ পানি নিয়ে যা বললেন চঞ্চল চৌধুরী
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। পানির অভাব এদেশে নেই। তবে পানযোগ্য পানির হিসেব নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক প্রশ্নই থেকে যায়।
বর্তমানে দেশের ৮৬% বাসা বাড়ির মানুষ টিউবওয়েল কিংবা সাপ্লাই পানি পান করেন। তবে পিপাসা মেটাতে যা পান করা হচ্ছে তার সবই কিন্তু নিরাপদ পানি নয়। এই যুক্তিতে পৃথিবীতে অন্য দেশের মতোই বিশুদ্ধ পানির সংকটে বাংলাদেশও ভুগছে।
গবেষণায় এসেছে পানির নিরাপদ উৎসগুলোর ৪১ শতাংশই ক্ষতিকারক ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত। পাইপের মাধ্যমে বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। ফলে বাড়ছে পানিবাহিত রোগের সংক্রামণ।
তাই নিরাপদ পানির বিকল্প নেই। সেই নিরাপদ পানির জন্য সোচ্চার হলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও বেশ অবাক হয়েছি যখন জানলাম আমাদের পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহের জন্য দায়ী এই ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া। এছাড়াও জন্ডিস, ডায়রিয়া, কলেরার মতো রোগ দেখা দিচ্ছে মহামারি আকারে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পান না করার কারণে। আর দুঃখজনক হলেও পানিবাহিত রোগের বড় শিকার শিশুরা। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, পাঁচ বছর বা এর কমবয়সী শিশু মৃত্যুর শতকরা ৬ শতাংশই ঘটে থাকে পানিবাহিত রোগের জন্য।’
তিনি বলেন, পানির দূষণ যেভাবে বেড়েছে, ফুটিয়ে কিংবা পুরোনো পদ্ধতিতে পানি পরিশোধন প্রক্রিয়া কোনোভাবেই ১০০% নিশ্চিত সুরক্ষা দিতে পারে না। তাছাড়া ফুটানো ও পুরানো উপায়ে পানিশোধন প্রক্রিয়া অনেক সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং এগুলোর কার্যকারিতা তুলনামূলকভাবে কম।
তাছাড়া দিন দিন পানিতে আরো যোগ হচ্ছে ই-কোলাই, মরিচা, সীসা, আয়রণ এর মত মতো নতুন যুগরে দূষণ । আর এজন্য অ্যাডভান্সড টেকনোলজির বিকল্প নেই। যা শুধুমাত্র নিশ্চিত করে নিরাপদ খাবার পানির সহজ সমাধান পিওরইট পিউরিফায়ার। এর পরিশোধন পদ্ধতি ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সাথে সাথে অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান দূর করে পানিকে করে ফোটানো পানির থেকেও নিরাপদ।’
পিওরইট নিয়ে এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘একেবারেই ঝামেলাহীন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী হওয়ায় বর্তমানে আমি নিজেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পিওরইটের ব্যবহার শুরু করছি। নিজের পরিবারের পানির সুরক্ষায় কোনো আপস নেই।
পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে কাজ করে আসছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পিউরিফায়ার ব্র্যান্ড পিওরইট। দেশের বাজারে শুধু কেনা-বেচাতেই তারা সীমাবদ্ধ নয়, নিরাপদ পানির ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ‘এসডিজি-৬’ নিয়ে কাজও করছে তারা।
এটি একমাত্র ওয়াটার পিউরিফায়ার ব্র্যান্ড যা বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠান-ডিআরআইসিএম, বিসিএসআইআর কর্তৃক যাচাইকৃত। সবমিলিয়ে পিওরইটের সাথে কাজ করতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বাজারে কাজ করে আসছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পিউরিফায়ার ব্র্যান্ড পিওরইট। দেশের বাজারে শুধু কেনা-বেচাতেই তারা সীমাবদ্ধ নয়, নিরাপদ পানির ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ‘এসডিজি-৬’ নিয়ে কাজও করছে তারা। ঢাকার বিভিন্ন শপিং মলে পাওয়া যায় পিওরইট-এর পিউরিফায়ার। এছাড়াও নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা সিটি, মিরপুর, উত্তরা, গুলিস্তান, রামপুরাসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এই পিউরিফায়ার।
অনলাইনে পিওরইট অর্ডার করতে ভিজিট করতে হবে (https://www.pureitwater.com/BD/ অথবা https://www.pickaboo.com/pureit) ঠিকানায়। এছাড়া হোম ডেলিভারি পেতে কল করা যাবে ১৬৬২৭ নাম্বারে।
এমএবি/এলএ/এমকেএইচ