বাবা ছিলেন, বাবা আছেন, সবসময়ই থাকবেন : সোহেল আরমান
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভক্তদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা আমজাদ হোসেন। ভক্তরা ফুল হাতে তার মরদেহ শেষবারের মতো দেখতে শহীদ মিনারে ভিড় করেছেন।
শনিবার বেলা ১১টায় ভক্ত ও সহকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয় আমজাদ হোসেনের মরদেহ। এ সময় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভক্তরা ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনের ছেলে সোহেল আরমান বলেন, বাবা ছিলেন, বাবা আছেন, সবসময়ই থাকবেন। বাবাকে আপনারা এতো ভালোবাসেন তা কফিনের ওপরে ফুল দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বাবা দেখে যেতে না পারলেও আমি দেখতে পাচ্ছি বাবার জন্য আপনাদের ভালোবাসা।
তিনি আরও বলেন, আমি পরিবারের পক্ষ থেকে আমার বাবার জন্য শুধু দোয়া চাই। আপনারা বাবার জন্য দোয়া করবেন, আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমরা বাবার আদর্শে চলতে পারি।
আমজাদ হোসেন বাংলাদেশের মানুষকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন। কখনো অহংকার করেননি। আমি চাই আপনারা বাবার জন্য সব সময় দোয়া করবেন - বলেন সোহেল আরমান।
থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) মারা যান ৭৬ বছর বয়সী বরেণ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আমজাদ হোসেন। এক সপ্তাহ পর গতকাল শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। প্রথমে আদাবরের বায়তুল আমান মসজিদে জানাজা শেষে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল তার মরদেহ।
১৯৪২ সালের ১৪ অগাস্ট জামালপুরে জন্ম নেয়া আমজাদ হোসেন চিত্র পরিচালনার বাইরে লেখক, গীতিকার, অভিনেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। গান লেখা, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন আমজাদ হোসেন। এছাড়া সরকার তাকে একুশে পদকেও ভূষিত করে।
‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ১৯৬১ সালে রূপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় তিনি বেশি সময় দেন। ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘খেলা’।
এআর/আরএস/এমকেএইচ