ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

ভালো মানুষ হতে চান হ্যাপি!

প্রকাশিত: ০১:৪৯ এএম, ২১ আগস্ট ২০১৫

অভিনয় জীবন থেকে ফিরে আখিরাতের পথ বেছে নিয়েছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আকতার হ্যাপি। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এক জায়গায় লিখেছেন, `আল্লাহের কাছে তওবা করে এখন শুধু নামাজ আর ভালো মানুষ হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় দিন কাটাচ্ছি।` এমনকি তার প্রোফাইলের ছবিও পরিবর্তন করে একটি কোরআন শরিফের ছবি দিয়েছেন।

ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বেশ আলোচিত এই মডেল। ফেসবুকে একেক সময় একেক ধরনের মন্তব্য করে মিডিয়াপাড়ায় হৈচৈ ফেলে দেন। এইতো কিছুদিন আগে বলেছিলেন, দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তিনি। পরে সেদিনই আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বলেন, `চলে যাবো চিন্তা করছি, তবে আর কিছুদিন পর। ভিসাটা তাড়াতাড়ি দিলেই হয়।` পড়ুন বৃহস্পতিবার রাতে দেয়া হ্যাপির ফেসবুক স্ট্যাটাস।

``আসসালামু আলাইকুম। আমি আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আরও বেশ কিছুদিন আগে। আমি চলচ্চিত্র, মিডিয়া ওই সকল রঙিন দুনিয়া থেকে একেবারের জন্য বিদায় নিয়েছি। জীবনটাকেই বদলে ফেলেছি। এবং আল্লাহের কাছে তওবা করে এখন শুধু নামাজ আর ভালো মানুষ হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় দিন কাটাচ্ছি। এর মধ্যে অদ্ভূত এক শান্তি, যে শান্তি দুনিয়ার সব সম্পদ নিজের থাকলেও সম্ভব নয়। আমাদের প্রত্যেকের এটাই চিন্তা করা উচিত যে, দুনিয়া খুব কম সময়ের এই সময়টা শুধুমাত্র আল্লাহের ইবাদাত করার জন্য, আর কোনো কিছুর জন্য নয়। আমরা যদি সবাই একবার চিন্তা করি দুনিয়া কী? কিসের জন্য? মৃত্যুর পর কী হবে? তাহলে আমরা সব উত্তর পেয়ে যাবো।

আমি খুব ভাগ্যবতী যে, আমি নিজের ভুল বুঝে এখন শুধু অাল্লাহর ভালোবাসায় মগ্ন। দুনিয়ার কোনো শক্তি নেই আমাকে অসৎ পথে নিয়ে যাওয়ার বা আল্লাহের পথ থেকে সরানোর। আমার সাথে যে বা যারা অন্যায় করেছে আমি সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি, আর চাই আল্লাহ তাদের সঠিক পথে আসার তৌফিক দান করুক এবং তাদের ক্ষমা করুক। বিশ্বাস করুন ইসলামের পথে চলা আর ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করার মধ্যে বেহেশতের সুখ যা আপনি আর কোনোভাবে অনুভব করতে পারবেন না।

দুনিয়াতে যে যতো বেশি কষ্টে থাকে সে ততো ভাগ্যবান/ভাগ্যবতী কারণ আল্লাহ তার যেই বান্দাদের বেশি ভালোসেন তাদেরকে দুঃখ-কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন আর এই পরিক্ষায় পাস করতে পারলে আল্লাহ তার জন্য আখিরাতে অনেক বড় পুরস্কারের ব্যবস্থা করবেন। আর যেই মানুষ অন্য একজন মানুষকে নিয়ে হাসি-তামাসা, ঠাট্টা, বিদ্রুপ আর ছোট এবং অপমান করে তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়াতে আরও সুযোগ দেয় এবং মৃত্যুর পর তাদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে।

আমি বেপর্দায় চলতাম, ইসলাম মেনে চলতাম না, রঙিন দুনিয়ায় চলতাম আমি যদি আল্লাহকে ভয় করে ও আল্লাহকে ভালোবেসে ইসলামের পথে আসতে পারি তাহলে আপনি/আপনারা কেন পারবেন না? আল্লাহ সবসময় অপেক্ষা করেন তার বান্দা কখন তার কাছে ক্ষমা চায় এবং আল্লাহের দেখানো পথে চলে! আমি আল্লাহকে ভালোবেসে যে সুখ পাচ্ছি যা জীবনে আর কখনোও পাইনি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার ঈমান ঠিক রেখে বাকি জীবন আল্লাহর দেখানো পথ অনুসরণ করে চলতে পারি।

মানুষ চাইলেই বদলাতে পারে আর আল্লাহর পথে চলতে চাইলে তিনি নিজে পথ দেখিয়ে দেন। এই মুহূর্তে যদি মারা যাই আল্লাহর কাছে কিভাবে পাপের জবাবদিহি করবো? দুনিয়া থেকে পরকালের জন্য কী নিয়ে যাবো? এইসব একবার ভাবুন তাহলেই একজন ভালো ও পবিত্র মানুষ হতে পারবেন। আমিন।`` (সামান্য পরিমার্জিত)

বিএ