নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নামলেন নায়ক ফারুক
ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন চিত্রনায়ক ফারুক। তার হাত ধরে ১৮ বছর পর গুলশান-বনানীতে নৌকা মার্কা ফিরলো। এলাকাবাসী অনেক উচ্ছ্বসিত বলে দাবি করলেন চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এই অভিনেতা।
আজ মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন। রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ওয়ান্ডারল্যান্ড মাঠে আয়োজন করা হয়েছে ফারুকের জাতীয় নির্বাচনের প্রথম বর্ধিত সভা।
সেখানে নায়ক ফারুকের জন্য এক হয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চালানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করবেন ঢাকা-১৭ আসনের আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী।
জাগো নিউজকে মঙ্গলবার দুপুরে ফারুক বলেন, ‘নেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা রেখেছেন সেজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাকে ও নৌকা মার্কা পেয়ে ঢাকা-১৭ আসনের মানুষ অনেক আনন্দিত। তারা নির্বাচনে আমাকে জয়ী করতে প্রস্তুত। আজ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভার আয়োজন করেছি। এখানে সবাইকে নিয়ে পরামর্শ করে নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করবো। সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই আমি।’
এর আগে গাজীপুর-৫ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন বলে মনোনয়ন কিনেছিলেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফারুক। তবে কালীগঞ্জ নয়, ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসন থেকে তাকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।
প্রসঙ্গত, নায়ক ফারুক স্কুলজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহভাজন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
চিত্রনায়ক, পরিচালক, প্রযোজক- একাধিক পরিচয়ে তিনি পরিচিত। সব ছাপিয়ে ভক্তদের কাছে তার বড় পরিচয় তিনি ‘মিয়া ভাই’। একসময় ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেন। এখন তিনি মাঠে নেমেছেন ভোটারের মন জয় করতে। রাজনীতির মঞ্চেও সরব এ অভিনেতা।
এলএ/এমএস