মনে আছে কি কিংবদন্তি অভিনেতা খলিলের কথা
মনে কী আছে কিংবদন্তি অভিনেতা খলিলের কথা। ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা ছিলেন তিনি। কলিম শরাফী ও জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’ ছবিতে নায়ক হিসেবে রূপালি পথচলা শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর নায়ক ও খলনায়ক হিসেবে অনেক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। ছোট পর্দায় অনেকে নাটকেও অভিনয় করে সবার হৃদয়ে নিজের স্থান করে নিয়েছিলেন।
সেই শক্তিমান অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। চলচ্চিত্রের সদা হাস্যোজ্জ্বল গুণী এই অভিনেতার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা যানাচ্ছে জাগো নিউজ।
আজ তার মৃত্যু বার্ষিকীতে নেই তেমন কোনো আয়োজন। তবে আগামীকাল শনিবার শিল্পী সমিতির তারা আত্মার শান্তি কামনা করে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে বলে জানা গেছে।
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ বললেন, ‘আজ শুক্রবার তাই আগামীকাল শনিবার আমরা শিল্পী সমিতিতে তার উদ্দেশ্যে দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করছি। দুই দুই বার তিনি আমাদের শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলেন তিনি।’
১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কুমারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন খলিল উল্লাহ খান। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় আটশ’ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন খলিল। তবে তার অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল টিভি নাটকের মধ্যদিয়ে। ‘গুণ্ডা’ শিরোনামের সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য তিনি পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ সিনেমাতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর ও কবরীসহ আরো অনেকে।
১৯৫৯ সালে ‘সোনার কাজল’ সিনেমাতে প্রথম অভিনয় শুরু করেন। এর আগে বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন তিনি। খলিল অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘প্রীত না জানে রীত’। সিনেমাটি ১৯৬৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পায়। খলিলের তৃতীয় সিনেমা ‘সংগম’।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘ক্যায়সে কঁহু’, ‘জংলি ফুল’, ‘আগুন’, ‘পাগলা রাজা’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ওয়াদা’, ‘বিনি সুতার মালা’, ‘বউ কথা কও’, ‘কাজল’ ইত্যাদি। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সিনেমায় মীরজাফরের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের কাছে প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি।
এমএবি/এলএ/এমকেএইচ