সহকারী পরিচালকদের সঙ্গে শাকিবের বাকবিতণ্ডা, দুই সাংবাদিক হেনস্তা
এফডিসিতে কয়েকজন সহকারী পরিচালকদের সঙ্গে চিত্রনায়ক শাকিব খানের কথা কাটাকাটি হয়েছে। এছাড়া দুই বিনোদন সাংবাদিক জিয়াউদ্দিন আলম ও সুদীপ্ত সাঈদ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিক জিয়াউদ্দিন আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এফডিসিতে শাকিবের ‘শাহেনশাহ’ সিনেমার শুটিং চলছিল। সন্ধ্যায় সহকারী পরিচালকদের সংগঠন সিডাবের নেতাকর্মীরা এসে শুটিংয়ে বাধা দেন। তারা তিনজন সহকারী পরিচালক ছাড়া কেন ছবির শুটিং করা হচ্ছে তা সিনেমার পরিচালক শামীম আহমেদ রনির কাছে জানতে চান। এর সদুত্তর না পেয়ে তারা শুটিং বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার প্রতিবাদ করলে শুটিং সেটের বাইরে শাকিব খানের সঙ্গে সহকারী পরিচালকদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়। সেখানে অনেকেই ছিলেন যারা তাদের তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করেন।’
সাংবাদিকদের হেনস্তার ব্যাপারে অনলাইন পোর্টাল মিডিয়াভুবনের সম্পাদক আলম বলেন, ‘আমি আর জিনিউজের সাংবাদিক ও সিনেমার চিত্রনাট্যকার সুদীপ্ত সাঈদ খান দূরে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলাম। শাকিব হঠাৎ গালাগালি করতে করতে তেড়ে এসে আমাদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। তিনি আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে তা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। আর সুদীপ্তর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন শামীম আহমেদ রনি। পরে আমাদের মেকাপ রুমে ডেকে নিয়ে যা তা ভাষায় ধমক দেন। সাংবাদিকতা নিয়ে অশ্লীল কথা বলেন। তাকে বারবার শান্ত করতে চাইলেও তিনি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেননি। আমার ও সুদীপ্তর ফোনের সব গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও তিনি ফরম্যাট দিয়ে মুছে দিয়েছেন।’
এদিকে এ প্রসঙ্গে শামীম আহমেদ রনি বলেন, ‘সহকারী পরিচালকদের সঙ্গে একটি বিষয়ে তর্ক হচ্ছিল। সেটা পরে মিটে গেছে। এ সময় দুজন সাংবাদিক ভিডিও করছিলেন। তাদের সেই ভিডিওটি ডিলিট করা হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়। পাশাপাশি সহকারী পরিচালকদের সংগঠন সিডাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভুল বোঝাবুঝিতে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল শাকিব খানের সাথে। সেটা পরে মিটে গেছে। তবে সাংবাদিকদের সাথে শাকিব খান ও পরিচালক রনির কোনো আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে বিনোদন সাংবাদিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।’
এলএ/বিএ