ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

৪০ বছরে শোলের অজানা কিছু তথ্য

প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৫

বলিউডের ইতিহাসে এক মাইলফলক হয়ে আছে অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী অভিনীত ‘শোলে’ ছবিটি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বলিউডের বক্স অফিসে ঝড় তুলে মুক্তি পায় অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ছবি ‘শোলে’। সে হিসেবে এবারে ৪০ বছর পূর্ন করলো বিখ্যাত এই ছবি। চলচ্চিত্রটির দারুণ এই মাইলফলক স্পর্শ করার দিনে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে এ বেশ কিছু অজানা তথ্য। চলুন জেনে নেয়া যাক শোলের সেইসব না জানা বিষয়গুলো-

ছবিতে সেলিম খানের বাবা বলদেব সিং চরকের নামে সঞ্জীব কুমারের চরিত্রের নাম রাখা হয় ঠাকুর বলদেব সিং।

এই ছবিতে অভিনয়ের সময়ের অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। ছবির আবহ তৈরিতে সত্যিকারের বুলেট বিস্ফোরণের ফলে বিগ বি. কোনো একটি বুলেট থেকে অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা পায় তার।

এই ছবির বেশিরভাগ চরিত্রের নাম নেওয়া হয়েছিল সালমান খানের বাবা সেলিম খানের ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ব্যক্তির নাম থেকে। জয় এবং বীরু এদুজন ছিলেন সেলিম খানের কলেজ বন্ধু। আর বালদেব সিং মূলত তার শ্বশুরের নাম।

অবাক করা তথ্য হলো শোলের শুটিং শুরুর আগে হেমা মালিনীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সঞ্জীব কুমার। হেমা মালিনী জানিয়ে দেন ছবিতে যেন সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে তার কোনও দৃশ্য না থাকে।

ছবিতে সঞ্জীব কুমারের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেন শরমন জোশির বাবা অরবিন্দ জোশি।

ঠাকুর বলদেব সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে ইচ্ছুক ছিলেন ধর্মেন্দ্র। রমেশ সিপ্পি যখন বলেন বীরুর চরিত্রে অভিনয় করবেন কুমার, ধর্মেন্দ্র তখন রাজি হয়ে যান। হেমা মালিনীর প্রেমে তখন পাগল ছিলেন ধর্মেন্দ্র।

বিখ্যাত চরিত্র গব্বর সিংয়ের জন্য আমজাদ খানের গলার আওয়াজ পছন্দ হয়নি জাভেদ আখতারের। তাই ছবি থেকে বাদ পড়তে চলেছিলেন আমজাদ খান!

ছবিতে মাত্র ৯টি দৃশ্য ছিল গব্বরের।

ছবিতে দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুস্তাক মার্চেন্ট। প্রথমে ট্রেন ড্রাইভারের চরিত্রে ও পরে সেই পারসি লোকের চরিত্রে যার মোটর সাইকেল জয় ও বীরু চুরি করে।

জয়ের চরিত্রের জন্য প্রথম পছন্দ ছিল শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু অমিতাভ বচ্চন প্রযোজকদের বোঝান উনিই এই চরিত্রের জন্য সেরা।

জয়ের চরিত্রের জন্য অমিতাভের কথা প্রথম বলেন সেলিম খান।

আ কাওয়ালি, কে চান্দ সা কোই চেহরা গান দুটি রেকর্ড করার পর ছবির দৈর্ঘ্যের কথা ভেবে পরে বাদ দেওয়া হয়। গান গেয়েছিলেন মান্না দে, কিশোর কুমার, ভূপেন্দ্র ও গীতিকার আনন্দ বক্সী।

অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগোঁ নাটকে আমজাদর খানের অভিনয় দেখে গব্বর চরিত্রের জন্য পছন্দ করেন জাভেদ আখতার।

পারিশ্রমিক হিসেবে একটি রেফ্রিজারেটর পেয়েছিলেন সচিন।

ছবি পরিচালনার জন্য প্রথমে মনমোহন দেশাইকে অনুরোধ করেন চিত্রনাট্যকার জুটি সেলিম খান ও জাভেদ আকতার। কিন্তু উনি চাচা ভাতিজা ছবি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নিতে পারেননি এই প্রস্তাব।

সাম্বার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মোট ২৭ বার বোম্বে থেকে ব্যাঙ্গালোরে যাতায়াত করেন ম্যাক মোহন। গোটা ছবিতে একটাই আইকনিক সংলাপ ছিল তার, ‘পুরে পচাশ হাজার’।

প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি হয়েছিল শোলে!

মেহবুবা মেহবুবা গানটি গাওয়ার কথা ছিল মান্না দের। কিন্তু আর ডি বর্মনের গলায় রেকর্ড হওয়ার পর তা এতই পছন্দ হয় মান্না দের যে উনি নিজেই বলে দেন ওটাই চূড়ান্ত।

ছবির হীরক জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছবির সব মূল চরিত্রাভিনেতাদের সোনার ব্রেসলেট উপহার দেন জিপি সিপ্পি।

কয়েন টস করার দৃশ্যের জন্য বানানো হয়েছিল ৬টি বিশেষ কয়েন।

প্রায় ২০ দিন লেগেছিল সূর্যাস্তের পর রাধার প্রদীপ জ্বালানোর দৃশ্যের শুট করতে। কিন্তু ছবিতে তা ছিল মাত্র ২ মিনিট!

আরএএইচ/এলএ/আরআইপি