হে গানওয়ালা, একবার শুধু তোমায় দেখবো বলে!
আগস্টের ২৫ তারিখ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, সব মানুষকেই মরে যেতে হবে। চলে যেতে হবে বহুদূরে। চলে গেছেন তিনি। আর কখনোই এই পৃথিবীর ধুলো মাখা পথে পড়বে না তার পায়ের চিহ্ন।
আর কখনোই বাজবে না তার রুপালি গিটার। কখনোই তিনি গাইবেন না। শত অনুরোধে দেয়ালে মাথা ঠুকলেও আইয়ুব বাচ্চু বলবেন না কোনো কথা। তিনি এখন সব অনুরোধ আর অনুভূতির বাইরে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে।
বাচ্চুকে হারানো শোকে পাথর শোবিজের মানুষেরা। সারাদেশের সংগীতপ্রেমীরাও বইছেন সেই শোক।
আইয়ুব বাচ্চু নেই, ডিজিটাল মিডিয়ার কল্যাণে খবরটি ছড়াতে বেশি সময় লাগেনি। সেই খবর শুনে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে জমতে থাকে বাচ্চুর স্বজন-বন্ধুরা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে উৎসুক জনতাও।
বৃদ্ধ থেকে তরুণ প্রজন্ম। কেউ বাদ যায়নি। বাংলা ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুকে দেখতে দেখতে শত শত ভক্ত ভিড় জমিয়েছেন হাসপাতালে। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের গেট যেন ভেঙে যাবে মানুষের চাপে। তাই নিরাপত্তার জন্য ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে।
পান্থপথের বাসিন্দা মাসুদ আলম। তিনি কাজ করেন একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে। অফিস যাবার পথে খবরটি শুনে চলে এসেছেন স্কয়ার হাসপাতালে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভেবেছিলাম প্রিয় মানুষটিকে এক নজর দেখতে পাবো। কিন্তু অনেক্ষকণ অপেক্ষার পর জানলাম মরদেহ আজ বের করা হবে না। আইয়ুব বাচ্চুর গান শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। তাকে একনজর দেখার খুব ইচ্ছে ছিলো সামনে থেকে।’
নার্গিস শারমিন রুমকি থাকেন পশ্চিম রাজাবাজারে। ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে ফিরছিলেন।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ভাই উনার খুবই ভক্ত ছিলেন। ওকে দেখতাম আইয়ুব বাচ্চুর নতুন নতুন ক্যাসেট কিনে আনতো। আমার ভাইটি বিদেশে থাকে এখন। ও খুব কষ্ট পাবে খবরটি শুনলে। ব্যান্ডের গান অতো শুনতাম না। তবে আমারও ভালো লাগতো আইয়ুব বাচ্চুর গান।’
এমনি আরও অনেকেই সকাল থেকে ভিড় করেছেন যদি দেখা যায় আইয়ুব বাচ্চুর ঘুমন্ত মুখটা। হোক প্রথমবারের মতো এবং অবশ্যই শেষবার।
এলএ