হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যু হয় আইয়ুব বাচ্চুর
রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দেশের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। স্কয়ার হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে অজ্ঞান অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় আইয়ুব বাচ্চুকে। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা কৃত্রিমভাবে কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর (কোনো কারণে যখন হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যায়, তখন সাময়িকভাবে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ কিছু সময় চালিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ করা) এর মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কয়ার হাসপাতালের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ডাক্তারি ভাষায় একে বলে ‘মৃত অবস্থায় আনা’। তার মৃত্যুর সাথে হাসপাতালের কোনো সম্পর্ক নেই। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আইয়ুব বাচ্চু হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান।
এর আগে স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন জনপ্রিয় এই কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। স্কয়ার হাসপাতাল সূত্র জানায়, আইয়ুব বাচ্চু সম্প্রতি স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি কিংবা চিকিৎসাধীন ছিলেন না।
স্কয়ার হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন হাসপাতালে বেলা সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, হাসপাতালে পৌঁছার আগে আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে হাসপাতালে আসার পথেই মারা যান।
তিনি আরও বলেন, আইয়ুব বাচ্চু হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাসপাতালে অানার পর চিকিৎসকরা প্রাণপন চেষ্টা করেছেন।
এদিকে জনপ্রিয় এই সংগীত শিল্পীর মৃত্যুতে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শোকের মাতম চলছে।
এমইউ/আরএস/আরআইপি