দেশের সবচেয়ে সাহসী নির্মাতা অনম বিশ্বাস
অনম বিশ্বাস পরিচালিত এ বছরের বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘দেবী’। আগামী ১৯ অক্টোবর সারাদেশে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রটির টিজার, ট্রেলার ও একটি গানও উপভোগ করেছেন দর্শক। চলচ্চিত্রটির প্রচারণার অংশ হিসেবেই সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে এক হয়েছিলেন ছবিটির প্রযোজক, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। ঢাকাই সিনেমা জগতের অনেকেই ছবিটির জন্য শুভকামনা জানাতে হাজির হয়েছিলেন সেখানে।
‘দেবী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, অনিমেষ আইচ, ইরেশ যাকের ও শবনম ফারিয়া। প্রায় সবার দেখা মিললো এ অনুষ্ঠানে। সিনেমাটি নিয়ে কথা বলতে নির্মাতার ভূয়সী প্রশংসা করলেন চঞ্চল চৌধুরী। চঞ্চল বলেন,‘এই সময়ের সবচেয়ে সাহসী নির্মাতা অনম বিশ্বাস।’
অনমকে সাহসী নির্মাতা বলার কারণ ব্যাখ্য করে চলঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বেশকিছু সফল চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তবে তারই সৃষ্ট মিসির আলী চরিত্রটিকে চলচ্চিত্রে উপস্থাপন করার সাহস করেননি কখনো। তিনি বেঁচে থাকলে মিসির আলীকে চলচ্চিত্রে হাজির করতেন কি? সেটাও আমাদের অজানা। তবে অবশেষে এই চরিত্রটিকে সামনে নিয়ে এলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অনম বিশ্বাস। এমন সাহস দেখানোর জন্য তিনি অবশ্যই প্রশংসা পেতে পারেন।’
চঞ্চল তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘অভিনয়শিল্পী হিসেবে এ চরিত্রটি অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিলো। এ চরিত্রটি করতে গিয়ে, আমাকে পুরোপুরি মন:স্তাত্বিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এখন আমার অপেক্ষা দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার।’
মিসির আলী চরিত্রটিকে উপস্থাপন করার জন্য অনম বিশ্বাসের প্রশংসা করেন জয়া আহসানও। প্রশংসা করেন এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হাসানুল হক ইনু।
এ বিষয়ে অনম বিশ্বাস বলেন, ‘মিসির আলীকে সামনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত আসলে আমার একার না। দেবী নোবেলটা জয়া আহসানের অনেক পছন্দের ছিল। আমরা ছোটবেলা থেকে যারা হুমায়ূন আহমেদের বই পড়েছি, এটা আমাদের অনেকেরই প্রিয়। জয়ার কারণেই এই উপন্যাস নিয়ে কাজ করা সম্ভব হলো। এই চরিত্রগুলোকে উপস্থাপন করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা কতটা পরিশ্রম করেছি সেটা দর্শক দেখলে বুঝবেন।’
তিনি আরও বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে মিস করছে ‘দেবী’ টিম। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো ছবিটি দেখতেন। হয়তো মন্তব্য প্রকাশ করতেন তার তৈরি চরিত্র মিসির আলীকে পর্দায় কেমন দেখায়।
এমএবি/এলএ/পিআর