ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

‘মনে হচ্ছে নাটক প্রযোজনা করতে এসে পাপ করেছি’

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দেশের বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের কাছে বিভিন্ন প্রযোজকদের ১০০ কোটি টাকারও বেশি বকেয়া জমেছে বলে দাবি টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র। বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বকেয়া আদায়ের দাবিতে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে একটি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করে সংগঠনটি।

সেখানে মুখ খুলেছেন অনেক প্রযোজক। তাদের মধ্যে প্রযোজক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘মনে হচ্ছে নাটক প্রযোজনা করতে এসে পাপ করেছি। একুশে টেলিভিনের কাছে ৮৫ লক্ষ টাকা পাওনা আমার। সেটা কবে পাবো কিছুই জানি না।’ পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার আক্ষেপটা এভাবেই প্রকাশ করলেন এই নাট্য প্রযোজক।

আরেক নাট্য প্রযোজক নাহিদ রিয়াজ রিপন বলেন, ‘এক টিভি চ্যানেলেই আমার এক কোটি টাকা পাওনা। দেড় বছর থেকে টাকা জন্য ঘুরছি তারা টাকা দিচ্ছেন না। টাকা দেওয়ার পরিবর্তে নানাভাবে আমাকে গুম করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তাদের সঙ্গে দেখাও করা যাচ্ছে না। অফিসে গেলে ঢুকতে দিচ্ছে না। আমার বাবার পেনশনের টাকা ইনভেস্ট করেছিলাম এখানে। তাদের এই আচরণের কারণে বাবার সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ হয়েছে।’

প্রযোজক ইফতেখার শুভ জানালেন তিনিও একটি চ্যানেলের কাছে পাবেন ৩৩ লক্ষ টাকা। জামাল মল্লিক জানালেন, ২০ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে নাটক প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। সেই টাকা ঘরে ফিরছে না। সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে জীবন বিপন্ন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নাট্যকার, অভিনেতা ও প্রযোজক মামুনুর রশীদও জানালেন, একটি টিভি চ্যানেলের কাছে তিনি প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা পান। সেই টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে না।

টেলিপ্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইরেশ যাকের এই প্রসঙ্গে জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সংবাদ সম্মেলনের চ্যানেলগুলোতে জানাতে চেয়েছি। আমরা সিরিয়াস। আশাকরি তারা আমাদের সঙ্গে বসার আগ্রহ দেখাবে। তারা যদি আমাদের কথা আমলে না নেন তাহলে নতুন কর্মসূচী দেওয়া হবে। আপনারা জানেন মালিক পক্ষের কাছে এই টাকাটা কিছুই না। তারা ইচ্ছে করলেই এই টাকাটা পরিশোধ করে দিতে পারেন।’

সংগঠনের সভাপতি মামুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক ইরশে যাকেরের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই চ্যানেলগুলোকে প্রযোজকদের বকেয়া পরিশোধ করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

এমএবি/এলএ/পিআর

আরও পড়ুন