ঢাকায় চলছে কনজুরিং সিরিজের সবচেয়ে ভয়ানক সিনেমা
ভূত আছে কি নেই তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে মানুষ ভয় পেতে ভালোবাসে- এ কথা বলেন মনোবিজ্ঞানীরাও। ভয়ে দু’হাত দিয়ে চোখ ঢেকে ফেললেও আঙুলের ফাঁক দিয়ে সাংঘাতিক দৃশ্যটা দেখতেও যেন ভুল করে না। দুই বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য কনজুরিং ২’ ছবির অভিজ্ঞতা দর্শকদের ভুলে যাওয়ার কথা নয়। সেই রোমহর্ষক দৃশ্যগুলো মনে করলে অনেকেই আঁৎকে উঠবেন এখনো।
ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়া ছবিটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো বক্স অফিসেও। ‘দ্য কনজুরিং ২’-এর সেই সন্নাসীকে মনে আছে নিশ্চয়ই। লরেনের চোখের সামনে বারবার যে চলে আসতো। সেই ভালাককে নিয়েই এবার গোটা একটা ছবি। কনজুরিং ফ্রাঞ্চাইজির নতুন এ ছবির নাম ‘দ্য নান’। ৭ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সেও চলছে সিনেমাটি।
‘কনজুরিং’, ‘অ্যানাবেল’-এসবের উৎসের আগে ভালাকের জন্ম। কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিলো এই ভৌতিক চরিত্রটি? সেটাই ছবিটিতে দেখিয়েছেন পরিচালক করিন হার্ডি। ছবির টিজার দেখার পর থেকে দর্শকমহলে আলোচনা এখন তুঙ্গে। 'কনজুরিং' সিরিজের এই গা ছমছমে ভিডিওর পরতে পরতে দানা বেঁধেছে রহস্য।
দেখানো হয়েছে রোমানিয়াতে এক যুবতী সন্ন্যাসীনীর মৃত্যুর তদন্তে নেমেছেন সিস্টার আইরিন ও ফাদার বার্ক। আর সেই তদন্তের স্বার্থে আইরিন নিজের বয়ান দিচ্ছিলেন। জানাচ্ছিলেন তিনি কী দেখেছেন। তাঁর বর্ণনা রীতিমত গায়ে কাঁটা লাগাতে বাধ্য।
'কনজুরিং' সিরিজের পঞ্চম ছবি 'নান' উস্কে দিয়েছে ছবির পূর্ববর্তী সিরিজের নান এর চরিত্রটিকে। যাকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছিল 'কনজুরিং ২' ছবিতে। আদিভৌতিক এক রহস্যে মোড়া 'নান', 'কনজুরিং' সিরিজের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়ানক ছবি বলে দাবি নির্মাতাদের।
এমএবি/এলএ/আরআইপি