ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

মামলা আলোচনায় আনতেই আমাকে জড়ানো হয়েছে : ন্যান্সি

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৫০ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন স্বামী শাহারিয়ার আমান সানি। শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাতপাই পূর্বধলা রোডে বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ।

সানির স্ত্রী সামিউন্নাহার শানু বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি ও তার স্বামী নাদিমুজ্জামান জায়েদকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় তাকে ও তার স্বামীকে জড়ানোটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন দেশের জনপ্রিয় গায়িকা ন্যান্সি।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘আমি খুবই অবাক হয়েছি এই মামলায় আমার নাম দেখে। শুধু আমাকে না, সঙ্গে আমার স্বামীকেও জড়ানো হয়েছে। এর কোনো কারণই নেই। সম্পূর্র্ণই উদ্দেশ্যমূলকভাবেই আমাদের নাম এই জড়ানো হলো। আমার সুনাম নষ্ট করতেই এমনটা করছে তারা। এই মামলার কোনো অভিযোগের সঙ্গেই আমাদের সম্পৃক্ততা নেই।’

ন্যান্সি বলেন, ‘স্ত্রী আমার ভাইয়ের, সংসারও তার। তারা থাকে নেত্রকোণায় আর স্বামী সংসার নিয়ে আমি থাকি ঢাকা-ময়মনসিংহে। সংসার-গান নিয়ে নিজের মতো ব্যস্ত থাকি। আমার ভাইয়ের সংসারের ব্যাপারে খুব একটা কিছু আমি জানতাম না। কারণ, অন্যের কিছুতে নাক গলানোর স্বভাব আমার নেই। মিডিয়াতে যারা আমাকে চেনেন তারা সেটা খুব ভালো করেই জানেন। আমার ভাই ও তার স্ত্রী প্রেম করে বিয়ে করেছিলো। তাদের মধ্যে এমন সমস্যা আমি কী করে জানবো। কেউই আমাকে কখনো কিছু বলেনি।

আমি কেবল জেনেছি গত ২৭ আগস্ট সানি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে। এই তালাকের কাগজ এরই মধ্যে শানুর হাতেও পৌঁছেছে। স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে আমার সঙ্গে সঙ্গে সানি কোনো আলোচনা বা পরামর্শ করেনি। শানুও আমাকে কিছু জানায়নি। ও কখনো বলেনি যে ওর উপর সানি নির্যাতন করছে। তেমন কোনো আভাসও দেয়নি। ওরা ওদের মতো সংসার করেছে। যখন তালাক হয়ে গেল তখন সে দাবি করছে নির্যাতনের।

একবার ভেবে দেখুন, ২৭ তারিখে ডিভোর্স হয়েছে আর ৭ তারিখে তার মনে হলো যে সে নির্যাতিত। স্পষ্ট বোঝা যায় পরিকল্পনা করেই মামলাটি করা হয়েছে। দেশে নারী নির্যাতনের মামলার অপব্যবহার নতুন কিছু নয়। অনেক নামী ব্যক্তিদেরও এই মামলায় জড়িয়ে বিব্রত ও ক্ষতি করা হয়েছে পূর্বে।’

ন্যান্সি জানান, তিনি জেনেছেন সম্পত্তি নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য সানিকে চাপ দিচ্ছেন তার স্ত্রী সামিউন্নাহার শানু। সানি তাতে রাজি নয়। সেই নিয়েই তাদের কলহ চলছিলো। এমনকি শানু তার ভাইয়ের বন্ধুদের দিয়ে সানির ওপর হামলাও করিয়েছে। তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। বাধ্য হয়ে সানি তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। এখন শানুকে দিয়ে তার পরিবার মামলা করিয়েছে।

ন্যান্সির ভাষ্য, ‘দেশের একজন গায়িকা হিসেবে আমার সুনাম ও পরিচিতি রয়েছে। সেটি কাজে লাগিয়ে মামলাটিকে আলোচনায় এনে বিশেষ ফায়দা লুটতে চাইছে তারা। তারা বুঝেছেন যে মামলায় আমাকে জড়ালে সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পাবেন। ফলে প্রশাসনও ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। সবখানে সংবাদ হচ্ছে ন্যান্সির ভাই গ্রেফতার। এটাই সবার চোখে পড়ছে। কেউ কিন্তু বলছে জনির ভাই (ন্যান্সির আরেক ভাই) বা অমুকের ছেলে গ্রেফতার। শানুর পরিবারের উদ্দেশ্য এটাই ছিলো। অহেতুক হয়রানিতে আমার ইমেজের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তারা। আমি নেত্রকোণার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আমি ঢাকায়। যেহেতু আমার মায়ের পেটের ভাই গ্রেফতার হয়েছে আমাকে তো যেতেই হবে। আইনিভাবেই মোকাবিলা করতে হবে মিথ্যে মামলাটির।’

এদিকে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন খান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মামলার অপর দুই আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বাদীর দাবিতেই ন্যান্সি ও তার স্বামীর নাম আসামি তালিকায় আছে। তারা নির্দোষ কী না দোষী সেটা আদালতে প্রমাণ হবে। আমরা কিছু বলতে পারবো না।’

এলএ

আরও পড়ুন