ইন্ডিয়ান আইডলে শারীরিক হেনস্থা, নিশান্তকে সমর্থন মিনির
‘ইন্ডিয়ান আইডলে’ সাবেক প্রতিযোগী নিশান্ত কৌশিক শারীরিক হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। সম্প্রতি এ নিয়ে তিনি মুখ খুলেছেন। আর তাতে সায় দিয়েছেন প্রতিযোগিতার সাবেক সঞ্চালিকা মিনি মাথুর।
নিশান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছেন, ‘ইন্ডিয়ান আইডলে’ তিনি ২০১২ সালের প্রতিযোগী ছিলেন। ওই সময় তাকে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছিল। সম্প্রতি এই বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়।
Brief, nonchalant thread about my auditioning experience at Indian Idol 2012 and why I think it is a perfect platform to destroy your dreams as opposed to its common perception as a breeding ground for talent.
— Nishant Kaushik (@nofreecopies) August 20, 2018
নিশান্তের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে মিনি মাথুর লিখেছেন, ‘আমি ২০১২-তে ‘ইন্ডিয়ান আইডলে’ যুক্ত ছিলাম না। কিন্তু আমি জানি, ও (নিশান্ত) যেটা বলছে সেটা সত্য। কারণ বেশিরভাগ রিয়ালিটি শোতে এটাই হয়। আমার রিয়ালিটি শো ছেড়ে দেয়ার অনেক কারণের মধ্যে এটাও একটা।’
২০১২-এ তৃতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেন নিশান্ত। অডিশনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘নিজের স্বপ্নকে ধ্বংস করার প্ল্যাটফর্ম ইন্ডিয়ান আইডল। আমি সাতটার সময় অডিশনের লাইনে দাঁড়াই। দরজা খোলে দুপুর একটায়। অনেকে ভোর পাঁচটা থেকে লাইন দিয়েছিল। কেউ বা আগের দিন রাত থেকে ছিল ওখানে। কারণ আমাদের বলা হয়েছিল আগে আসার ভিত্তিতে অডিশন দেয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। কিন্তু কেন দেরি হলো, তা আমাদের জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি কেউ।’
This sucks. Thanks for forwarding me this thread. I wasn’t part of the 2012 season but I know most of what he has articulated is known to happen on reality tv. One of the reasons I bowed out. This incessant need to create false emotion.
— Mini Mathur (@minimathur) August 22, 2018
RIP Organic, pure TV.
তিনি আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘ সময় প্রতিযোগীরা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাদের জন্য খাবার, পানি বা বাথরুমের ব্যবস্থা ছিল না। সকলেই ট্যালেন্টেড নন। ফলে যারা গান গাইতে পারেন না, তাদেরও বিচারকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। যাতে সেই সব প্রতিযোগীদের নিয়ে বিচারকরা মজা করতে পারেন। এমনকি খারাপ গান গাইলে প্রতিযোগীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগও তুলেছেন নিশান্ত।
অর্থাৎ পরোক্ষে অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিচারকদের দিকেও। অনু মালিক, সুনিধি চৌহান এবং সালিম মার্চেন্ট ২০১২-এ বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন। তবে ‘ইন্ডিয়ান আইডলের’ পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ এ নিয়ে মুখ খোলেননি।
বিএ/এমএস