রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাট্য গবেষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরে থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরনার্থী জীবনের দুঃখ-কষ্ট, লড়াই, ইতিহাস, ক্ষোভ, হতাশাগুলো নিয়ে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন গবেষনা, প্রশিক্ষন, সংলাপ ও পরিবেশনার আয়োজন করা হয়েছিল। গেল বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং এ বছরের জানুয়ারি ও ফ্রেব্রুয়ারিতে কয়েক দফা গবেষনার শেষভাগে এসে এর সাথে যুক্ত হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াসিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক ও নির্দেশক ড. ডেরেক গোল্ডম্যান।
এরপর রোহিঙ্গা জনসাধারণের অশ্রু ভেজা দুঃখকে বাংলাদেশ ও বিশ্ব দরবারের কাছে পরিচয় করিয়ে দেন উপমহাদেশের বহুমাত্রিক নাট্যব্যাক্তিত্ব ড. ইসরাফিল শাহীন তার ‘পাঁজরে চন্দ্রবান’ নাটকটির মাধ্যমে। গবেষনা, প্রশিক্ষন, সংলাপ ও পরিবেশনার সেই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ২১ জুলাই থেকে তিনদিন আবারো কক্সবাজারের কুতপালং, উখিয়া, টেকনাফের শরনার্থী শিবির ও সমুদ্র সৈকতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরে থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের এম এ বর্ষের শিক্ষার্থীরা রোহিঙ্গা জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন পারফরমেন্সে অংশ নিবেন।
এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্য্যারয়ের নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে গত ১৯ জুলাই জিয়া হায়দার স্টুডিওতে ‘নাট্য ভ্রমন : অর্ন্তগত জীবনের সহজিয়া উম্মোচন’ শিরোনামে পারফরমেন্সের মুখোমুখি হয়ে অভিনেতার আত্মকথন পদ্ধতিতে যৌথভাবে অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরে থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্য্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ। যার সৃজন ভাবনায় ছিলেন বিচক্ষণ শিক্ষক ও কীর্তিমান নাট্য নির্দেশক অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন এবং একই বিভাগের শিক্ষক শাহমান মৈশান। আয়েজনটির সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান শামীম হাসান।
এ প্রসঙ্গে ড. ইসরাফিল শাহীন বলেন, ‘শিল্পের মুক্ত ভাষায় জ্ঞানের বিচিত্র পদ্ধতির সংমিশ্রনে দেশিয় ও বৈশ্বিক জীবন-বাস্তবতার অন্যতর বোধ সৃষ্টি করাই থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের লক্ষ্য। তার ধারাবহিক প্রয়াসই আমাদের এবারের নাট্য ভ্রমন। আশাহীন-ঘরহীন-রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মাঝে এখনও ভীতি, শূন্যতা, একাকিত্ব গ্রাস করে আছে। তাদের বর্তমান অবস্থা থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে শরনার্থী জীবনের দুঃখ-কষ্ট, লড়াই, ইতিহাস, ক্ষোভ, হতাশাগুলোকে থিয়েটারের যে অপার সম্ভাবনা, সামাজিক শক্তি ও নান্দনিকতা আছে তার মাধ্যমে প্রকাশ করাটাই আমাদের লক্ষ্য।’
এমএবি/এমএস