ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই তুমি!

প্রকাশিত: ০৮:২৩ এএম, ০৬ আগস্ট ২০১৫

আজ বাইশে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী কবি, সাহিত্যিক, চিত্রকার, সুরকার, গীতিকার, দার্শনিক বহু গুনে গুনান্বিত কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আখ্যায়িত করা হয় সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী কবি হিসেবে।

বাঙালির প্রাণের কবি, বাংলা সাহিত্যের অভিধানসম পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৪তম মহাপ্রয়াণ দিবস। বাংলা সাহিত্যের এই প্রাণপুরুষ ১৩৪৮ সনের ২২ শ্রাবণ পরলোকগমন করেন।

পৃথিবী ছেড়ে না-ফেরার দেশে চলে গেলেও অসামান্য রচনা ও সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে আজো বেঁচে আছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি এখনো দুই বাংলার মানুষের প্রেরণার এক অন্তহীন উৎস। কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করা রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে বাঙালির সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বজনীন হয়ে ওঠে।

১৯১৩ সালে প্রথম বাঙালি এবং এশীয় হিসেবে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল জয় করেছিলেন তিনি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, নাট্যকার, কথাশিল্পী, চিত্রশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির এমন কোনো দিক নেই যেখানে এই কীর্তিমানের ছোঁয়া পড়েনি। আশি বছরের জীবন সাধনায় বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে বিশেষ মর্যাদার আসনে আসীন করে গেছেন তিনি।

কবিতা দিয়ে সাহিত্যচর্চার শুরু এবং শেষ হলেও তার হাতেই বাংলা ভাষায় প্রথম সার্থক ছোট গল্পের সৃষ্টি হয়েছে। তিনিই আবার বাংলা উপন্যাসকে আধুনিক রূপ দেন। শুধু সৃজনশীল সাহিত্য রচনা নয়, অর্থনীতি, সমাজ, রাষ্ট্র নিয়ে তার ভাবনাও তাকে সম্মানের আসনে পৌঁছে দিয়েছে। মানুষের মুক্তির দর্শন ছিল তার চেতনাজুড়ে।

রবীন্দ্রনাথই একমাত্র কবি যিনি দুটি দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর তার রচিত `আমার সোনার বাংলা` গানটিকে জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেওয়া হয়।

তারই `জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে` গানটি ভারতের জাতীয় সংগীত। প্রয়াণ দিবসে আজ দেশে ও দেশের বাইরে বাংলাভাষীরা বিশ্বকবিকে স্মরণ করছে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায়। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে নানান আয়োজন করা হয়েছে। টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলগুলোয় প্রচার করা হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ জাতীয় দৈনিকগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ রচনা।

শেষকথায় কবিকে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা দিয়ে স্মরণ করছি। এই কবিতা কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। তিনি লিখেছেন- `দুপুরের রবি পড়িয়াছে ঢলে অস্তপারে কোলে/বাংলার কবি শ্যাম বাংলার হৃদয়ের ছবি তুমি চলে যাবে বলে/শ্রাবণের মেঘ ছুটে এলো দলে দলে।`

কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সূত্র : উইকিপিডিয়া ও অনলাইন

এলএ/পিআর