ফুলেল শ্রদ্ধায় চির বিদায় নিলেন রানী
ফুলেল শ্রদ্ধায় ভাসলেন রানী সরকার। শনিবার বিকেল ৩টায় এফডিসিতে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজার আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, এফডিসি ও তথ্য মন্ত্রনালয় পৃথক পৃথকভাবে ফুল দিয়ে সম্মান জানায় রানীকে।
এর পর জানাজার নামাজ পড়ান এফডিসির মসজিদের ইমাম। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। জনপ্রিয় নায়ক ফারুক, আলমগীর, রিয়াজ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম খোকন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ আরও অনেকে।
এফডিসিতে শুটিং করছিলেন শাকিব খান। ক্যাপ্টেন খান সিনেমার শুটিং ফেলে জানাজার আগে রানী সরকারকে শেষ দেখা দেখতে এসেছিলেন তিনি। এসেছিলেন নায়িকা সিমলাসহ আরও অনেকে।
জানাজার আগে কথা হয় নায়ক আলমগীরের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমরা একজন গুণী শিল্পীকে হারালাম। চলচ্চিত্র একজন ভালো শিল্পীকে হারালো। তার আত্মর মাগফিরাত কামনা করি।’
জানাজা শেষে আজিপুর গোরস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ। দাফন হবে সেখানেই।
শনিবার (৭ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রানী। ৮৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বার্ধক্য ছাড়াও পিত্তথলির পাথর, বাতজ্বর, জটিল কোলেলিথিয়েসিস রোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
রানী ছিলেন ষাট ও সত্তর দশকের খল-অভিনেত্রী। নেতিবাচক চরিত্রে তার উপস্থিতি দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। রানী সরকারের জন্ম সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার সোনাতলা গ্রামে। তার আসল নাম মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম। তার বাবার নাম সোলেমান মোল্লা এবং মায়ের নাম আছিয়া খাতুন।
১৯৫৮ সালে রানী সরকারের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় এ জে কারদার পরিচালিত 'দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। ১৯৬২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশামুর রহমান পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র 'চান্দা'তে অভিনয় করেন। ২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।
এমএবি/এলএ/আরআইপি