সেলিম ও প্রসূন বাবা-মেয়ে
একজন ডাকপিয়ন। তার জীবনে রয়েছে একটি গল্প। সেই গল্পের বাস্তব রূপ পায় তার সন্তান নিশি উপর। বাবা-মেয়ের মধ্যে গড়ে উঠে ভালোবাসা এক সম্পর্ক। ছোট বেলা থেকেই ডাকপিয়ন হায়দার তার স্ত্রী হারিয়ে একমাত্র নিশিকে বড় করতে থাকে। নিশি তার বাবার ভালোবাসায় বড় হয়ে উঠে ভাসির্টিতে পড়াশোনা করে। বাবা মেয়ের ভালোবাসায় নতুন করে যোগ করে নিশির প্রেমিক আরাফাত। নিশি এবং আরাফাত দুজন দুজনকে প্রচন্ড ভালোবাসে। আরাফাত অনেক ধনী পরিবারের ছেলে এবং সে নিজেও একজন ধনী ব্যবসায়ী। নিশি প্রায়ই তার মায়ের জন্য কাঁদে।
এক রাতে কান্নার সময় হায়দার শুনতে পায়। তারপরই হায়দার তার জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব গল্পটি বলেন। নিশি শুনে অবাক হয়। তার আরও ভয় করতে থাকে আরাফাতকে হারাবার। একদিকে নিশি তার বাবাকে প্রচন্ড ভালোবাসে অন্যদিকে আরাফাতকে ছেড়েও সে থাকতে পারবে না। এখন তাহলে কি হবে? নিশি এমনই এক ভালোবাসার টানাপোড়নের মধ্যে পড়ে যায়। কিন্তু শেষটা কি হয়। নিশিকি তার বাবার ভালোবাসা হারায় নাকি নিজের ভালোবাসা হারায়? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে দেখতে হবে নাটক ‘ডাকপিয়ন’।
তাসলিমা মুক্তার পরিচালনায় নাটকটির গল্প এবং রচনা করেছেন কুদরত উল্লাহ। এতে ডাকপিয়নের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তুখোর অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম ও তার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসূন আজাদ। তার প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ অভিনেতা আরফান অনিক।
শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘খুবই চমৎকার একটি গল্প। এই নাটকটি একটি সামাজিক গল্প, পারিবারিক গল্প। মা, মেয়ে, বাবার গল্প। খুবই ইমোশনাল। আমার কাছে অভিনয় করে খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি দর্শকদের ভালো লাগবে।’
নাটকটির গল্প নিয়ে পরিচালক তাসলিমা মুক্তা বলেছেন, এটা ডাকপিয়নের গল্প।চিঠিতে যে আবেদন ছিল ভালোবাসা ছিল। সবার সঙ্গে যোগাযোগের একটা মাধ্যম ছিল এবং একটা সম্পর্ক তৈরি হতো। সেটা কিন্তু মানুষ দেখতে পাচ্ছে না। এখানে আমরা দেখতে পাবো বাবা মেয়ের ভালোবাসা। কিন্তু ডাকপিয়নের জীবন অনেক নিম্নবিত্ত হয়। যার ফলে তার সহধর্মিনী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এই নাটকটিতে দর্শকরা দেখবেন এই কারণে যে চিঠি ও ডাকপিয়ন তাদের পরিবারের ভালোবাসার গল্প একটি সুন্দর গল্প।
প্রসূন আজাদ বলেন, ‘নাটকে আমার বাবা হচ্ছে ডাকপিয়ন। আমি ডাকপিয়নের মেয়ে। যে কিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ,বাবা ডাকপিয়ন তাই তার চিঠির সূত্র ধরে একটি ছেলের সাথে পরিচয় হয় , কিন্তু ছেলের পরিবার অনেক উচ্চবিত্ত থাকে। কিন্তু আমার বাবার জীবনেও একটি ঘটনা আছে। খুবই ভিন্ন ধারার একটি গল্প এটি। বাবার সঙ্গে রসায়ন অনেক ভালো থাকে আমার। এই রকম গল্পে আমি আগে কখনো কাজ করি নাই। দর্শকরা আমাকে নতুন ভাবে দেখবে এই নাটকে।’
এ এস মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড নিবেদিত এবং আশরাফ ও সাজ্জাদ প্রযোজিত নাটকটি গত ১ ও ২ মে উত্তরার বিভিন্ন স্থানে দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। শিগগিরই ডাকপিয়ন নাটকটি প্রচার হবে একটি বেসরকারি চ্যানেলে। এমনটাই জানা যায় নিমাতা সূত্রে।
এমএবি/এলএ/পিআর