কিছুই মনে নেই সালমান শাহ’র ময়নাতদন্তকারী ডোম সিকান্দারের
চিত্রনায়ক সালমান শাহ মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে আদালত পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে। সেই খবর শুনে হতবাক সালমানের মরদেহের ময়নাতদন্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী তৎকালীন মরচুয়েরি এসিস্ট্যান্ট (ডোম) রমেশ চন্দ্র। বর্তমানে তিনি ধর্মান্তরিত সিকান্দার আলী।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এ প্রতিবেদক তাকে এ বিষয়টি জানালে তিনি হতবাক হয়ে বলেন, ‘বলেন কি, আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে? আমি কি বলবো, বললে বলবে ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত বছর আগের ঘটনা, এখন তো কিছুই মনে নাই। জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ কথা বলা ছাড়া কিই বা বলতে পারব।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) বিশেষ করে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অতি পরিচিত মুখ মধ্যবয়সী সিকান্দার আলী। বাবার হাত ধরে কিশোর বয়সে এ পেশায় এসেছেন। মরচুয়েরি এসিস্ট্যান্ট হিসেবে জীবনে হাজার হাজার লাশের ময়নাতদন্ত করেছেন। ময়নাতদন্ত করতে করতে এতটাই অভিজ্ঞ হয়েছেন যে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অনেক চিকিৎসক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরিতে তার পরামর্শ নেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ যখন মারা যান তখন সিকান্দার আলী একেবারেই তরুণ। তখন তার নাম ছিল রমেশ চন্দ্র। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে সিকান্দার আলী বলেন, ‘যতদূর মনে পড়ে তৎকালীন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ডা. তেজেন দাস ও ডা. বারি নামে দুজন চিকিৎসক সালমান শাহ’র ময়নাতদন্ত করেছিলেন। ওই সময় তিনিও ময়নাতদন্ত কাজে চিকিৎসকদের সহায়তা করেছিলেন। তবে ২২ বছর আগে করা সেই ময়নাতদন্ত সম্পর্কে এখন আর তেমন কিছুই মনে নেই।
তিনি বলেন, ‘এত বছর আগের কথা কী কারও কিছু মনে থাকে!’
সিকান্দার আলী জানান, তেজেন দাস ও বারি নামের ওই দুই ফরেনসিক মেডিসিনের চিকিৎসক বহু বছর আগেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন বলে জানেন। তারা এখন কোথায় আছেন জানেন না। পাশাপাশি সালমান শাহ নায়ক বলেই এত কিছু হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, তদন্ত সংস্থা পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) এর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস সালমান শাহ’র মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও ডোমকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
একই সঙ্গে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২০ আগস্ট নতুন করে দিন ধার্য করেন আদালত।
এমইউ/এলএ