নেপাল ট্রাজেডি নিয়ে সিনেমা বানাবেন হৃদয়ের রংধনু ছবির নির্মাতা
দীর্ঘদিন নানা জটিলতায় সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে ‘হৃদয়ের রংধনু’ নামের ছবিটি। সম্প্রতি বাধ্য হয়ে ছবিটির সেন্সর ছাড়পত্র পেদেত আদালতের দ্বারস্থ হন এর প্রযোজক ও নির্মাতা রাজিবুল হোসেন। সেই প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত আগামী ছবিটিকে কেন সেন্সর দেয়া হচ্ছে না সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এর জবাব চেয়েছেন আদালত।
ছবিটির ভবিষ্যত সম্পর্কে আলোচনা করতে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক, নির্মাতা রিয়াজুল রিজু, মুভিয়ানার সভাপতি বেলায়েত মামুন, নির্মাতা নোমান রবিনসহ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রের একজন শামস।
সেখানে আগের ছবিটি এখনো সেন্সর না পেলেও নতুন আরেকটি ছবির ঘোষণা দিলেন রাজিবুল হোসেন। তিনি জানান, হাবিব জাকারিয়ার চিত্রনাট্যে তিনি নির্মাণ করবেন ‘রানওয়ে টু জিরো জিরো টু’। নেপাল ট্রাজেডি নিয়ে ছবিটি তৈরি করা হবে। শিগগিরই ছবিটির কলাকুশলীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে।
‘হৃদয়ের রংধনু’ ছবিটির বিষয়ে রাজিবুল হোসেন জানান, ‘হৃদয়ের রংধনু একটি রিয়েলিটি ফিকশন। ৫৪টি জেলায় এটির শুটিং হয়েছে। এটি ২ ঘণ্টা ৭ মিনিট দৈর্ঘ্যের। ছবিটিতে ৪টি প্রধান চরিত্র রয়েছে। সোমবার সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়ে রিসিট নেওয়া হয়েছে ছবিটির। দীর্ঘ ২ বছর কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সেন্সর বোর্ড ছবিটি আটকে রেখেছে। পরে হাইকোর্ট একটা সময় বেধে দিয়েছে সেন্সর বোর্ডকে। যদিও পর্যটন কর্পোরেশন অনাপত্তি জানিয়েছে, তারপরেও কেন সেন্সর ছাড়পত্র পাচ্ছে না ছবিটি তা আমার বোধগম্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডের ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জনই সরকারি আমলা, বাকি ২ জনের মধ্যে একজন এফডিসি সংশ্লিষ্ট। তবুও আমরা চাই খুব তাড়াতাড়ি একটি সুখবর শুনতে সেন্সর বোর্ডের কাছ থেকে। কারণ ২ বছর লেগেছে আমার ছবিটি বানাতে। সেন্সর বাঁধায় আটকে আছে আরও ২ বছর। কবে মুক্তি দেব? আর ৮টি কারণ সেন্সরে এসেছে, এর মধ্যে ৪টিই অনুপস্থিত।’
এলএ/আরআইপি