স্টার সিনেপ্লেক্সে পিঁপড়া মানব
স্পাইডার ম্যান, আয়রন ম্যান, এক্স ম্যানের মতো সুপার হিরোদের পাশে মার্ভেলের ‘অ্যান্ট ম্যান’র নাম অতোটা জনপ্রিয় নয়। এর আগে কখনোও সিনেমার পর্দায়ও দেখা যায়নি এই পিঁপড়া মানবকে। মার্ভেলের কমিক বইয়ের পাতাতেই রয়ে গিয়েছে এই সুপার হিরো।
তবে চলতি মাসেই কমিকসের পাতা থেকে সিলভার স্ক্রিনে উঠে এসেছে সুপার হিরো ‘অ্যান্ট ম্যান’। কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এরপর থেকেই বক্স-অফিসের শীর্ষে উঠে এসেছে পল রুড অভিনীত ‘অ্যান্ট-ম্যান’। বিশ্বজুড়ে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে এই নতুন সুপার হিরো।
‘অ্যান্ট-ম্যান’ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও ভাল ব্যবসা করছে। একই সময়ে মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং রাশিয়ায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
সেই সাফল্যের ধারবাহিকতা নিয়ে পিঁপড়া মানব এবার আসেছে ঢাকায়। শুক্রবারে বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সের পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
কে এই অ্যান্ট ম্যান? বায়োফিজিস্ট ও সিকিউরিটি অপরেশনস সেন্টারের মাথা ডক্টর হেনরি ‘হ্যাঙ্ক’ পিম আবিষ্কার করেন ‘পিম পার্টিকলস’ নামের এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা দিয়ে ইচ্ছামতো নিজের সাইজ পরিবর্তন করা যায়। নিজের এই কীর্তিকে কাজে লাগিয়ে সুপার হিরো হতে চান তিনি। সুপার হিরো স্যুটের সঙ্গে এমন এক হেলমেট তিনি বানান যা দিয়ে সহজেই তিনি কন্ট্রোল করতে শুরু করেন পিপড়েদের। নিজের সাইজ একেবারে ছোট করে পিঁপড়ের ঘাড়ে চেপে শুরু হয় তাঁর কাজ। পরে নিজের আবিষ্কারের কথা জানান নিজের বান্ধবীকে। এরপর স্কট ল্যাঙ্গ নামের এক চোর এই স্যুট চুরি করে নিজে অ্যান্ট ম্যান বনে যান।
এই স্কট ল্যাঙ্গকেই সিনেমায় দেখানো হবে। পল রুড অভিনয় করছেন স্কট ল্যাঙ্গের ভূমিকায় । যদিও তিনি আবিষ্কারকের স্যুট চুরি করেছেন আসল কমিকসে। তবে সিনেমায় হ্যাঙ্ককে দেখানো হয়েছে স্কটের গুরু রূপে। পিমের এই স্যুট যাতে খারাপ হাতে চলে না যায় তার জন্যই সিনেমায় লড়াই করবেন ‘অ্যান্ট ম্যান’। সিনেমায় পল রুড ছাড়াও অভিনয় করছেন ইভানজেলিন লিলি। হোপ ভ্যান সায়েনের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। আরও রয়েছেন কোরে স্টোল, ববি কানাভালোর মতো ভিনেতারা।
এলএ/আরআইপি