চতুর্থ বছর পূর্তিতে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
সাফল্যের গালিচায় হেঁটে হেঁটে পঞ্চম বছরে পা রাখলো দেশের জনপ্রিয় সংবাদ ভিত্তিক টিভি চ্যানেল ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। ২০১০ সালের ২৮ জুলাই এই বেসরকারি টিভি চ্যানেলটি তার যাত্রা শুরু করে। পূর্ণাঙ্গ সংবাদের চ্যানেল হিসেবে ইনডিপেনডেন্ট এরইমধ্যে পেয়েছে সব শ্রেণীর দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা।
চতুর্থ বছর পূর্তিতে চ্যানেলটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। সেইসাথে ভক্ত-অনুরাগী ও শুভাকাঙ্খীদের উষ্ণ শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছে ইনডিপেনডেন্ট টিভি।
পাঁচ বছরের পথ চলা শুরু করার আগে চ্যানেলটির সিইও এবং এডিটর ইন চিফ শামসুর রহমান অভিনন্দিত করলেন চ্যানেলটির সাথে জড়িত সকল অন্তপ্রাণ কর্মীদের। ধন্যবাদ জানালেন সেইসব দর্শক-অনুরাগীদের যাদের প্রেরণায় এতটা পথ পাড়ি দিতে পেরেছে ইনডিপেনডেন্ট। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলের সরকার তথা তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি- চ্যানেলটির যাত্রা ও এগিয়ে চলায় নীতিমালা, পরামর্শ ও আইনানুগ সহযোগীত প্রদান করে আসার জন্য।
বিশেষ এই সময়ে দাঁড়িয়ে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন নতুন কোনো পরিকল্প আনছে কি না জানতে চাইলে শামসুর রহমান বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই দর্শকদের ভালো লাগে সেই পরিকল্পনা নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের চেষ্টা করে আসছি। সংবাদকে বৈচিত্রতা দিতে এবং নতুন আঙ্গিকে সংবাদ উপস্থাপনে ইনডিপেনডেন্ট টিভি প্রয়াস চালাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, অন্যদের চেয়ে ভিন্নতা এবং ব্যতিক্রমী আয়োজন করতে পেরেছে বলেই সমসাময়িক সংবাদ ভিত্তিক চ্যানেলগুলোর থেকে ইনডিপেনডেন্ট এগিয়ে রয়েছে। হয়তো কিছু দুর্বলতা রয়েছে; সেগুলো কাটিয়ে উঠে এগিয়ে যেতে চাই আমরা। দর্শকদের ভালোবাসা আর সমর্থনে ইনডিপেনডেন্ট টিভি হবে দেশের সেরা জনপ্রিয় চ্যানেল।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিত্য নতুন প্রোগ্রাম, সংবাদের উপস্থাপনার ধরণে নতুন মাত্রা, সবার আগে সঠিক ও বিস্তারিত সংবাদ প্রচারে আমরা বরাবরই সচেষ্ট থাকি। নতুন বছর শুরুর মুহূর্তে বলতে চাই, এই চেষ্টা অব্যাহত রাখব আমরা।’
এদিকে দেশীয় টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের বিড়ম্বনায় বিরক্ত দর্শকরা। এই বিব্রতকর সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য বিজ্ঞাপনের নতুন নীতিমালা আনছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ইনডিপেনডেন্ট টিভির এই সিইও বলেন, ‘বিজ্ঞাপন প্রচারে আমরা সবসময়ই সহনীয় থাকার চেষ্টা করি। সরকারের যে নীতিমালা রয়েছে সেগুলো মেনেই আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার করি। তাই নতুন কোনো নীতিমালা আসলে আমাদের তেমন প্রভাবিত করেব না। কারণ, নীতিমালার যে খসড়া দেখেছি তার সাথে ইনডিপেনডেন্ট টিভির বিজ্ঞাপন নীতিমালার খুব একটা পার্থক্য নেই। দর্শকদের জন্যই টিভি চ্যানেলের প্রয়াস এবং কার্যক্রম। তাদের বিরক্ত করে কিংবা বিমুখ করে সাফল্য সম্ভভ নয়।’
বিজ্ঞাপনের বিষয়ে চূড়ান্ত বিধান করতে টেলিভিশনের মালিকপক্ষ রাজি নয় তথ্যমন্ত্রীর দেয়া সাম্প্রতিক এই বক্তব্যের বিষয়ে শামসুর রহমান বলেন, ‘অন্যদের ক্ষেত্রে বিষয়টি কেমন জানি না। তবে আমরা সবসময়ই সরকারের নিয়ম-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। গণমাধ্যমের উন্নয়নে সরকারের যে কোন ভাবনাকেই আমরা সাধুবাদ জানাই। যদি কোথাও কোনো গ্যাপ থাকে তবে টিভি মালিকপক্ষ ও সরকার পক্ষ একসাথে বসে তার সমাধাণ সম্ভব।’
অন্যদিকে চ্যানেলটির হেড অব নিউজ খালেদ মহিউদ্দীন বলেন, ‘এই মুহূর্তে টিভি রেটিংয়ে আমাদের অবস্থান বেশ ভালো। নিত্য নতুন আয়োজনে আরো এগিয়ে যেতে চাই আমরা। আমাদের বেশ কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে যেগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই ভালোবাসা নিয়ে দর্শকরা আমাদের পাশে থাকলে অনেক দূর এগিয়ে যাবে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। যা কিনা দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনের ইতিহাসেও নতুনত্ব যোগ করবে বলে বিশ্বাস। তাই আমাদের সঙ্গেই থাকুন।’
প্রসঙ্গত, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন বেশ কিছু জনপ্রিয় অনুষ্ঠান দিয়ে দেশর শীর্ষস্থানীয় সংবাদ চ্যানেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারমধ্যে অপরাধ বিশ্লেষণ বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘তালাশ’, সাক্ষাতকার ভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘মুখোমুখী’, বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান ‘তারার খেলা’, খেলাধুলা বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘যতো খেলা’ এবং ব্যতিক্রম ধর্মী অনুষ্ঠান ‘আজকের বাংলাদেশ’, ‘এডিটরস পিক’, ‘রঙ্গমঞ্চ’ ‘বাংলাদেশ এখন’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এলএ/পিআর