চলচ্চিত্র দিবসের অনুষ্ঠানে হাসান ইমামই সভাপতি : তথ্যমন্ত্রী
চলচ্চিত্র দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানে প্রবীণ অভিনেতা হাসান ইমামই সভাপতিত্ব করবেন, এটা নিয়ে বিভ্রান্তি অমূলক বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের (৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠান নিয়ে শনিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান মন্ত্রী।
গত বুধবার চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি সভাপতি ফারুক বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি পুরুষ সৈয়দ হাসান ইমাম সাহেবকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি মিটিং হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার বিএফডিসির এমডি আমীর হোসেন মোবাইলে কল দিয়ে সৈয়দ হাসান ইমামকে এই পদে না থাকার জন্য ওপর মহলের আদেশ আছে বলে জানান।’
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতি দিলেন তথ্যমন্ত্রী।
ইনু বলেন, ‘এটি সরকারি কর্মসূচি হলেও আমি জাতীয় উদযাপন কমিটিতে হাসান ইমামকে সভাপতি করার কথা বলেছি। আর বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পালন করবেন কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মসূচি বলে কেউ কেউ এফডিসির এমডিকে কমিটি এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি হওয়ার কথা বলেছিলেন। আমি তা জানার সঙ্গে সঙ্গে বলেছি, প্রবীণ অভিনেতা হাসান ইমাম একইসঙ্গে কমিটি এবং অনুষ্ঠান দুটিরই সভাপতি হবেন।’
তথ্যমন্ত্রী বিৃবতিতে বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ঘোষিত জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপনের সরকারি কর্মসূচিতে চলচ্চিত্রের বিশাল জগতের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখা সবার অংশগ্রহণই আমাদের কাম্য। ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উত্থাপিত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিলের মাধ্যমে এফডিসি প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় এ দিবসের জাতীয় চেতনা ধারণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
হাসান ইমামকে সভাপতি করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে ইনু বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) বাস্তবায়িত অনুষ্ঠানটি সরকারি খরচে হলেও এখানে শিল্পী-প্রযোজক-পরিচালক-কলাকুশলীদের অংশগ্রহণকে মর্যাদাপূর্ণ করার আন্তরিক চেষ্টা থেকেই প্রবীণ শিল্পী হাসান ইমাম সভাপতি হয়েছেন।’
এ সময় সিনেমা আমদানি-রফতানির বিষয়টিও সবার জানা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে বছরে ৫০-৭০টা চলচ্চিত্র হয়। সাফটা চুক্তির কারণে আমরা একটি সিনেমা রফতানির বিপরীতে একটি সিনেমা আমদানি করতে পারি। সেটিও চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যদেরই কমিটির মাধ্যমে।’
‘পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছরের (২০১৭) জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র এসেছে মাত্র ছয়টি। তাই ভারতীয় বা অন্য বিদেশি সিনেমা দেশের চলচ্চিত্রকে গ্রাস করছে, একথা কল্পনাপ্রসূত’ বলেও দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র মুক্তি দেবার বিষয়টিও তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় নয়, দেশের প্রযোজক এবং পরিবেশক সমিতি ঠিক করে, কোন শুক্রবার কোন সিনেমা মুক্তি পাবে।’
ইনু আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার চলচ্চিত্রে অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ ও সিনেমার সংখ্যা বাড়ছে। এফডিসির ফ্লোরগুলোতে আবার নিয়মিত শুটিং হচ্ছে, এফডিসি ডিজিটাল হচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটির কাজ এগিয়ে চলেছে। সিনেমা হলগুলো যেহেতু ব্যক্তি মালিকানায়, তাই তাদের উৎসাহিত করতে নেয়া হচ্ছে ডিজিটালাইজেশন প্রকল্প।’
আরএমএম/জেএইচ/আরআইপি